বাদল আহমেদ নবীগঞ্জ থেকে :
নবীগঞ্জ উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নের গোপলার বাজারের আল আমিন হাশেমিয়া সুন্নিয়া দাখিল হেফজখানা ও এতিমখানা মাদ্রাসায় রাব্বি (১৩) নামের এক কিশোরের রহস্যজনক আত্নহত্যার ঘটনা ঘটে। নিহত কিশোর গোলাম রাব্বি বাহুবল থানার মিরপুর গ্রামের কাউসার মিয়ার পুত্র।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল (১৮ জুন) নিহত রাব্বি সকালে মাদ্রাসার সকল ছাত্রদের সাথে নাস্তা করে, পরিবর্তিতে কোনো একসময় মাদ্রাসার হেফজ খানায় সকলে অগোচরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্নহত্যা করে। এই বিষয়ে আরও জানা যায়, আল আমিন হাশেমিয়া সুন্নিয়া দাখিল হেফজখানা ও মাদ্রাসার বাবুর্চি কোনো এক কারণে হেফজখানার দিকে যান। হটাৎ তার চোখে ভেসে উঠে গলায় ফাঁস লাগিয়ে রাব্বির মৃত দেহ ঝুলে আছে। তাৎক্ষনিক ভাবে মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ কে খবর দেন, সব শিক্ষকগন ও ছুটে আসেন এসে দেখেন এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এদিকে রাব্বি জীবিত ভেবে তড়িঘড়ি করে মাদ্রাসার শিক্ষকগন তার গলার রশি কেটে মাটিতে নামান। এবং সেই সময়ে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মরত চিকিৎসক রাব্বিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এদিকে রাব্বির এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর কথা শুনে বাহুবলের মিরপুর থেকে তার বাবা মা ছুটে আসেন। রাব্বির এই করুন মৃত্যু তার পরিবার কোনো ভাবে যেনো মেনে নিতে পারছেনা। তাদের দাবী তাদের সন্তান কে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাছাড়াও তারা আরও অভিযোগ করেন তাদের বুকের মানিক কে দেখলে কেউ বলবে না সে নিজ ইচ্ছায় গলায় ফাঁস লাগিয়েছে, তার চেহারায় ফাঁসের কোনো আলামত দেখতে পাননি। এছাড়াও স্থানীরা এই আত্মহত্যা নিয়ে হতাশ তাদের ও বক্তব্য এখানে কোনো রহস্য লুকিয়ে আছে যা প্রশাসন গোপনে তদন্ত করলে তলের বিড়াল সামনে চলে আসবে। এব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো: কামরুজ্জামান আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এটা আত্মহত্যা না হত্যা এখনও বলা যাচ্ছেনা। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর জানা যাবে হত্যা না আত্মহত্যা এবং জিডি মুলে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।