লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বরই তোলা এক সিএনজির ড্রাইভার ও তাঁর পরিবারের লোকজনকে সন্ত্রাসী দিয়ে মারধর করে এবং অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে বাড়িঘর ভাংচুর করে মালামাল লুটপাট করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় উত্তর হামছাদী ইউনিয়ন পরিষদ আদালতে একটি মামলা করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
ফারুক ড্রাইভার জানান, রায়পুর উপজেলা থেকে বেশ কিছু নারী-পুরুষ সন্ত্রাসী স্টাইলে সদর উপজেলার হামছাদী ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড বরই তোলা খাল পাড়ের আমার বাড়িতে এসে ঘরের মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়।এবং কিছু মালামাল খালে পেলে দেয় তারা। এসময় আমার মা ও স্ত্রী বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তারা আমার মা এবং স্ত্রী ও আমার প্রতিবন্ধী মেয়েকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করে। আমি গাড়ির থেকে এসে দেখি আমার প্রতিবন্ধী মেয়ে মাটিতে পড়ে আছে,তখন মেয়েকে দেখে উঠানোর জন্য আসতে চাইলে তারা পিছন থেকে এসে আমাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করে থাকে।
মোঃ ফারুক আরো বলেন, আমি কয়েক বছর আগে বাবুল আলম ভূইয়া থেকে ৬ শতাংশ জমিন ক্রয় করি, পরে শুনতে পায়, ঐ সম্পত্তি পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায়। যার কারণে বাবুল আলম ভূইয়া আমাকে জমিনটি রেজিষ্ট্রেশন করে দিতে পারে নাই। পরে ওনাকে বললে তিনি ঐ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সম্পত্তিতে ঘর করার জন্য অনুমতি দেন। পরে আমি ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করি থাকি, আমার অর্থনীতি দূর্বল হওয়ার কারণে এখনো ঘরের কাজ শেষ করতে পারিনি তার পরেও প্রায় ২ বছর ধরে পরিবার-পরিজন নিয়ে বাস করছি।
এখন শুনতেছি, এই জমিন নাকি আনোয়ার হোসেন নামে একজনকে, স্ট্যার্টাম করে দিয়েছে বাবুল আলম ভূইয়া। এখন আনোয়ার, রাসেল ও জাহাঙ্গীর আলম জনি ঐ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সম্পত্তি দখল করার জন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে ভাড়াটে সন্ত্রাসী এনে বাড়িঘরে হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা ঘরের দরজা-জানালা কুপিয়ে ভাঙচুর করে ঘরবাড়ি দখল করে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় সন্ত্রাসীরা আমাকে প্রাণনাশের হুমকিও দেয়। এবিষয়ে আমি উত্তর হামছাদী ইউনিয়ন পরিষদের ৭জনকে বিবাদী করে একটি মামলা করি।
অভিযুক্তরা জানান, আমরা ফারুকের কাছে টাকা পাবো, তাই আমাদের টাকা দিলেই আর কোনো সমস্যা হবে না। এই জায়গায় কিছুদিন আগে দান করেছে আমাদেরকে। তাই পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায় আমাদের।
স্হানীয়রা জানান, ফারুক ড্রাইভার আগে রায়পুর উপজেলার বামনী ইউনিয়নের সাইচা গ্রামে ভাড়া বাসায় বসবাস করে ছিল, প্রায় ২ বছর আগে উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের বরই তোলা খাল পাড়ে ঘর তৈরি করে বসবাস করে থাকে। প্রায় সময় দেখি রাসেল, আনোয়ার ও তাহাদের স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েরা এসে ফারুক ড্রাইভারের পরিবারের উপর হামলা করার চেষ্টায় করে।
এবিষয় উত্তর হামছাদী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক ভূইয়া জানান, আমার পরিষদে একটি মামলা করেছে ফারুক ড্রাইভার, আমি বিবাদীদেরকে নোটিশ করেছি, তাহারা পরিষদে আসলে দুই পক্ষের কথা শুনে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করিবো।
কিন্তু আজকে শুনলাম অন্য উপজেলার লোকজন এসে ফারুক ড্রাইভার ও তাহার প্রতিবন্ধী মেয়েকেসহ পরিবারের লোকজনের উপর হামলা ও লুটপাট করে মালামাল নিয়ে যায়। গ্রাম পুলিশকে পাঠিয়েছি দেখার জন্য।