June 22, 2025, 2:37 am

সংবাদ শিরোনাম
নরসিংপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র যেনো নিজেই রোগী চৌহালী উপজেলা স্বার্থ সংরক্ষণ পরিষদ এর পক্ষ থকে ৫ দফা দাবিতে স্বারক লিপি প্রদান জামায়াতের লক্ষ্য ইসলাম কায়েম –সহকারী সেক্রেটারী আব্দুল হালিম বেনাপোলে বিজিবি ৯লাখ ২০ হাজার টাকার জালনোট সহ ১জনকে আটক করেছে ক্ষেতলালে দীঘির পাড়া মহল্লায় সম্পত্তি দখলের অভিযোগ, তদন্তে ভূমি অফিস উখিয়ায় দুর্নীতি প্রতিরোধ বিষয়ক প্রথম ও দ্বিতীয় রাউন্ডের বির্তক প্রতিযোগিতা ৪ মাদক মামলার আসামী বিএনপির সেক্রেটারী! সেনাবাহিনীর অভিযানে লামায় অস্ত্র সরঞ্জামসহ আটক ৯ বামনায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করছেন অফিসার ইনচার্জ হারুন অর রশীদ হাওলাদার উদীচীর অসমাপ্ত কাউন্সিল সম্পন্ন প্রতিনিধিদের ভোটে বদিউর সভাপতি, অমিত সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত

জয়পুরহাটে চাকরির নামে প্রতারণার ফাঁদ, মূলহোতা খাজের আলী

জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ

জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরকারি চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তরুণদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক চক্রের মূলহোতা খাজের আলী। চাকরিপ্রার্থীরা এই চক্রের ফাঁদে পা দিয়ে সর্বস্বান্ত হলেও ভুক্তভোগী লোকলজ্জার ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না।

প্রতারক চক্রের মূলহোতা কালাই উপজেলার আওড়া পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত আকবর আলীর ছেলে খাজের আলী।

তার শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকলেও নিজেকে সরকারি প্রতিষ্ঠানের এমডি ও সিও পরিচয় দিয়ে সরকারি বিভিন্ন সংস্থায় চাকরি পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে হাতিয়ে নেন লাখ লাখ টাকা। স্থানীয় একজন সাবেক আওয়ামী লীগ কর্মীর প্রভাব খাটিয়ে পরিচিত ব্যক্তিদের নাম ভাঙিয়ে তিনি প্রতারণার জাল বিস্তার করেছেন।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১৬ লাখ টাকার প্রতারণা চলমান অনুসন্ধানে জানা যায়, খাজের আলী মাসুদ রানা’র সহযোগিতার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে (এফডব্লিউভি) চাকরি দেওয়ার নাম করে তানিয়া নামের এক চাকরি প্রার্থীর কাছ থেকে ১৬ লাখ টাকা নেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে তানিয়া বলেন, “আমি রিটেন ও ভাইভা দিয়েছি, টাকা দিয়েছি ১৬ লাখ। আমার নাম্বার কোথায় পেলেন?” এরপর তিনি ফোন কেটে দেন। কিছুক্ষণ পর তিনি আবার ফোন করে অনুরোধ করেন, “ভাই, এ বিষয়ে নিউজ করবেন না, আপনার নাম্বার সেভ করে রাখলাম, প্রয়োজন হলে জানাবো।”

সেনাবাহিনি চাকরি আশ্বাস দিয়ে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে বাড়িতে আটকে রেখে টাকা আদায় করেছেন এমন আরেক ভুক্তভোগী, উত্তরাইল গ্রামের দিনমজুর আব্দুল হামিদ বলেন, “আমার ছেলে সেনাবাহিনীতে আবেদন করেছিল। ছেলের চাকরির পর খাজের আলী আমাকে বাসায় ফেরার পথে ধরে তার বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ৭ লাখ টাকা দাবি করে। ভয় দেখায়, টাকা না দিলে চাকরি যাবে।খাজের আলীর ছেলে সেনাবাহিনীতে চাকরি করে যে কোনো মুহূর্তে আমার ছেলের চাকরি খাবে৷ আমি ভয়ে গরু,ও জমি বন্ধক রেখে ৭ লাখ টাকা দিই। এখন বলার সুযোগ পেয়েছি, আল্লাহর কাছে বিচার দিয়েছি।”

ভুক্তভোগীদের কল রেকর্ড এই প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষণ রয়েছে৷

অভিযুক্ত খাজের আলী সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি কিভাবে চাকরি দেব? সমাজে আমাকে হেয় করার জন্য আমার প্রতিবেশীদের চক্রান্তে এসব মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে।”

জয়পুরহাট জেলা বার সমিতির আইনজীবী রায়হান আলী বলেন, “এই প্রতারণা অপরাধ। প্রতারিতরা চাইলে থানায় বা আদালতে মামলা করতে পারেন। তারা অবশ্যই আইনি সুরক্ষা পাবেন। প্রতারকরা ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ধরা পড়ছে।”

মেধাবীদের মূল্যায়ন দাবি করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী মাসুদ রানা বলেন, “২৬ বছর পড়াশোনা করে আমরা ডিগ্রি অর্জন করেছি। অথচ জেলাভিত্তিক কিছু প্রতারক মধ্যবিত্ত ও শিক্ষিত বেকারদের সরকারি চাকরির লোভ দেখিয়ে সর্বস্বান্ত করছে। এই প্রতারকদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে।” প্রতারিতদের উচিত আর দেরি না করে প্রশাসনের দারস্থ হওয়া এবং প্রতারকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণেই বন্ধ হবে এই ধরনের অপরাধ।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর