আলী আকবর চুন্নুঃ
আজ থেকে এত বছর পূর্বে ১৫৫৫ সালে ইংরেজরা শ্রমজীবী নারী পুরুষ তাঁতিদের কম মজুরি দিত। এটা বর্ধিত ছিল ১৭০০সন পর্যন্ত।
মজুরি হাসরও শুরু করেন ১৭৫৬ সালে এবং ১৭৫৭ সালে শ্রমজীবীর তাঁতিদের যে আইনটি ছিল তা বাতিল করেন।
এলিজাবেতীয় যুগের শিক্ষা নিবেশ আইন ১৫৬২ সালে সংবিধানের পাশ করেন।
তাই লন্ডনের শ্রমজীবীর তাঁতিরা ১৭৬৫ থেকে ১৭৬৯ ও ১৭৭৩ সালে ধর্মঘটের ডাক দেন।
এর ধারাবাহিকতায় শুরু হলো শ্রমিক আন্দোলন। শ্রমিক বিপ্লব প্রথম শুরু হয় যুক্তরাজ্যের ১৭৬০ থেকে ১৮৩০ সালের দিকে।
শ্রমিক শ্রেণীর আন্দোলন ছিল ১৮৩৮ থেকে ১৮৪৮ সালের মাঝামাঝি ইংল্যান্ডে শুরু হয়েছিল।
১৮৩৮ সালের পিপলস চার্টার থেকে ধারণা করা হয়েছে যে এই আন্দোলনের ৬ টি প্রধান লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল যে, ২১ বছর বা তার বেশি সকল পুরুষ নারীদের জন্য ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা।
যার ফলশ্রুতিতে শ্রমিকরা একত্রিত হয়ে প্রথম আন্দোলন করেন ১৮৮৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটের শ্রমিকরা।
তাদের দাবি ছিল যে ৮ ঘন্টার পরে যদি এক মিনিটও ওভারটাইম করা হয় তার বেতন দ্বিগুণ দিতে হবে।
সেই দাবি আদায়ের লক্ষ্যে শ্রমজীবী জনগণ আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েন, তখন বর্বর আয়নার দল আমেরিকান পুলিশ তাদের উপরে গুলি চালায়, সেই গুলিতে ১১-১২ জন শ্রমিক মৃত্যুবরণ করেন। ১৮৮৯ সালের ১৪ ই জুলাই ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক শ্রমিক সম্মেলনে পহেলা মে শ্রমিক দিবস ঘোষণা করা হয়।
১৮৬৯ খ্রিস্টাব্দে ফরাসি বিপ্লবের শতবার্ষিকীতে প্যারিসে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক প্রথম কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়। ১৮৯০ সাল থেকে আমেরিকার শিকাগোতে প্রতিবাদ বার্ষিকী পালন করেন।
১৯৩৩ সালে জার্মানি নাৎসি পার্টি ক্ষমতায় আসার পর শ্রমিক দিবসের ছুটি ঘোষণা করেন।
বর্তমানে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে ১৯৪৫ সাল থেকে দক্ষিণ এশিয়ায় ৮০ টি দেশে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালন করা হয়ে থাকে। ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ ইংরাজরা ভারতবর্ষের শ্রমিক মেহনতি মানুষেরা প্রথম শ্রমিক দিবস পালন করেন পহেলা মে।
বর্তমানে বাংলাদেশের শ্রম আইন কিছুটা পরিবর্তন করতে হবে, আশা রাখি আগামী দিনে শ্রমিকরা ন্যায্য অধিকার ভোগ করবেন ।