মিঠাপুকুর প্রতিনিধি ঃ
মিঠাপুকুরে গভীর নলকূপ পরিচালনা কমিটির দ্বন্দ্বের ফলে দেড়’শ বিঘা জমির বোরোআমন ধান চাষাবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। নলকূপ পরিচালনা কমিটির অভ্যন্তরীণ বিরোধের কারণে সেচ কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে, ফলে কৃষকরা সঠিক সময়ে সেচ সুবিধা পাচ্ছেন না। এতে করে বোরো ধানের উৎপাদন হুমকির মুখে পড়েছে এবং কৃষকদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।
রংপুরের মিঠাপুকুরে একটি গভীর নলকূপের পরিচালনা কমিটি নিয়ে দ্বন্ধের কারণে প্রায় ১৫০ বিঘা জমির বোরো আমন ধান চাষাবাদে অনিশ্চিতা দেখা দিয়েছে। ফলে খাদ্য সংকটের আশংকা করছেন এলাকাবাসীরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার মামুদের পাড়া গভীর নলকূপের আওতাধীন প্রায় ১৫০ বিঘা জমিতে স্থানীয় কৃষক তাদের মৌসুমী ফসল গম, আলুু, ভুট্রা, সহ বোরো ধানের চাষাবাদ করে জীবন ও জীবিকা নির্বাহ করে আসছে দীর্ঘ দিন থাকে, গভীর নলকুপটি পরিচালনার জন্য গত ৫/০২/২৪ ইং সালে সালে মো:- জান্নাতুল ফেরদৌস কে সভাপতি ও জাকির হোসেন কে ম্যানেজার করে ১২ সদস্য বিশিষ্ট মামুদের পাড়া গভীর নলকুপ পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়। পরবর্তীতে পরিচালনা কমিটির- সভাপতি ও ম্যানেজার বিগত মৌসুমের আয় -ব্যয় সংক্রান্ত বিষয়ে কমিটি কে হিসাব না দিয়ে এলাকার কৃষক ও পুর্ববর্তী কমিটি কে বাদ দিয়ে পুর্বের সভাপতি ও ম্যানেজার তার নিজ পরিবারের লোকজন কে নিয়ে গোপনে ৭ বিশিষ্ঠ একটি মামুদের পাড়া গভীর নলকুপ পরিচালনা কমিটি গঠন করে বলে অভিযোগ উঠেছে ঐ পরিবারের বিরুদ্ধে।
ফলে বর্তমান ও সাবেক কমিটির দ্বন্ধে গভীর নলকুপটি চালু না হওয়ায় ৫ গ্রামের প্রায় প্রায় ৬ শতাধিক বোরো চাষী সেচের পানি না পেয়ে চরম অনিশ্চয়তার মাঝে দিনাতিপাত করছেন।দেশের খাদ্য ঘাটতির পাশাপাশি এলাকায় খাদ্য সংকটের আশংকা দিয়েছে। মামুদের পাড়া গ্রামের কৃষক হেলাল উদ্দিন বলেন,গভীর নলকুপের সেচের আওতায় আমার নিজস্ব ৩৫ শতাংশ জমি রয়েছে এবার বোরোধান চাষাবাদ করতে না পারলে, পরিবার নিয়ে বিপাকে পড়তে হবে, এমনকি সারা বছর না খেয়ে থাকতে হবে। একই গ্রামের কৃষক মন্টু মিয়া বলেন, আমার আবাদী জমি মাএ ১০ কাঠা, এ জমিত এবার বোরোধান চাষাবাদ করতে না পারলে, মোর বউ ছাওয়ারা না খেয়ে দিন কাটাবে, খুব একটা বিধিকিস্তীর মধ্যেই পড়ে গেছি।
কৃষক কিনা মন্ডল বলেন, ২০ কাঠা জমিনোত ধান না নাগাইলে মোর ছইলটেক নেকাপড়ার খরচ দিবার পারব্যনাও নেকা পড়া নষ্ট হয়া যাইবে। তারা অবিলন্বে কমিটির দ্বন্ধ নিরশন করে সেচ ব্যবস্থা চালুর জোর দাবী জানান।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র বর্মন বলেন, আমরা অভিযোগ আমলে নিয়েছি, যতদ্রুত সন্ভব দুই পক্ষ কে নোটিশ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।