পিডিনিউজ অনলাইন
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার শেরপুর মুক্তিযুদ্ধা চত্তরে মিনিবাস, ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের শ্রমিকদের দু’গ্রæপের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে মাইক্রোবাস ড্রাইভার পাভেল আহমদ(৩০),আসাবউদ্দিন কালা(৩৫)রাজন আহমদ(৩৫)তৌহিদ আলী(২৪)মুহিবুর রহমান(৩৮)সহ ১০/ ১২ জন শ্রমিক আহত হন।গুরুত্বর আহত অবস্থায় পাভেল আহমদ ও আসাবউদ্দিন কালাকে মৌলভীবাজার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়,শেরপুর মাইক্রো স্ট্যান্ডের একটি মাইক্রোবাস যাত্রী নিয়ে পিউরিয়ার সামনে পার্কিং করতে বাধা প্রদান করে মিনিবাসের হেলফার। এ নিয়ে বাসের হেলফার ও মাইক্রোবাসের ড্রাইভারের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।এক পর্যায়ে শ্রমিকদের দু’ গ্রæপের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে মিনিবাস শ্রমিকরা ঢাকা সিলেট মহাসড়কের শেরপুর চত্ত¡রে এলোপাতারী বাস রেখে প্রায় ২ ঘন্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে।যার ফলে রোগীবাহী এম্বুলেন্স ও যাত্রীবাহী গাড়ি আটকা পড়ে ভোগান্তি সৃষ্টি করে।
খবর পেয়ে শেরপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শিপু কুমার দাসের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ও স্থানীদের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
এ ব্যাপারে শেরপুর আজাদ বখ্ত উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সাবেক অভিবাবক সদস্য মিজানুর রহমান বলেন,দুদল শ্রমিকের সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকার বিশিষ্টজনদের নিয়ে পরিবেশ শান্ত করার চেষ্টা করি। তিনি বলেন শেরপুর এলাকায় কিছুদিন পরপর মিনিবাস ও মাইক্রোবাস শ্রমিকদের মধ্যে যাত্রী উঠানো নিয়ে সংঘর্ষ হয় এবং সংঘর্ষের পর মিনিবাস শ্রমিকরা মহাসড়কে গাড়ি এলোপাতারী রেখে অবরোধ করে রাখে। অবরোধের ফলে রোগীবাহী এম্বুলেন্স,যাত্রীবাহী বাস ও এলাকাবাসীর দূর্ভোগ পোহাতে হয়।
এ ব্যাপারে শেরপুর পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ শিপু কুমার দাস বলেন সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। এ ব্যাপারে কোনো পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পিডিনিউজ/অনির্বাণ