February 9, 2025, 11:44 pm

সংবাদ শিরোনাম
আওয়ামীলীগ নেতা গ্রেফতারের খবর শুনে মিষ্টি বিতরণ রাজধানীর ডেমরা এলাকায় অটোরিক্সা চালক উযান মিয়া (৪২)’কে হত্যা মামলায় আসামী আকাশ ভূইয়া (২৮)’কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। তারেক রহমানের ৩১দফা প্রস্তাবনা বাস্তবায়িত হলে এদেশে আর কোন ফ্যাসিস্টের জন্ম হবে না- বিএনপি নেতা সেলিমুজ্জামান সেলিম। টঙ্গীর ইজতেমা ময়দান বুঝে নিলেন সাদপন্থিরা, দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা শুরু ১৪ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার সাগরে মৃত্যু প্রতিরোধে রেসকিউ বোট নিয়ে সহায়তায় এগিয়ে এলো ওয়ার্টসিলা বিচারপতি আবদুর রউফ ইন্তেকালে লেবার পার্টির শোক সুনামগঞ্জ জেলা আইন শৃংখলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত। রামুতে ইজিবাইক উল্টে প্রাণ গেল বৃদ্ধের আওয়ামী লীগ বিএনপিতে অনুপ্রবেশ করে ঘের দখল ও চাঁদাবাজী করছে পারিবারিক কলহের জেরে শ্বশুরের গোপনাঙ্গ কাটলেন পুত্রবধূ

বাবাকে হারিয়ে ৬ বছর ধরে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে আলী হায়দার পরিবার

মো. ইসমাইলুল করিম নিজস্ব প্রতিবেদক:

পার্বত্য জেলার বান্দরবানের লামায় ৬ বছর আগে কুপিয়ে হত্যা করা হয় মোহাম্মদ আলী হায়দারের বাবা আলমগীর সিকদারকে।সেই থেকে দায়ের করা হত্যা মামলাটি তুলে নিতে পরিবারের অন্য সদস্যদেরকে বিভিন্ন ভাবে প্রাননাশের হুমকি দিয়ে আসছে হত্যাকারীরা।এতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তার পরিবারের সদস্যরা।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১ টায় বান্দরবান প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন নিহত আলমগীর সিকদারের ছেলে মোহাম্মদ আলীহায়দার। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নিহত আলমগীর সিকদারের ভাই মোহাম্মদ দস্তগীর সিকদার মানিক বলেন, ২০১৯ সালের ২৩ জুলাই রাত সাড়ে ১০ টায় লামা সরই পুলাং পাড়ায় নিজের মুরগী খামার থেকে ফেরার পথে রাবার বাগান পৌঁছালে সেলিম উদ্দিনসহ তার সহযোগিরা আলমগীর সিকদারকে কুপিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।

এই ঘটনায় পুলিশ ও সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে দুই হত্যাকারী সায়মন ত্রিপুরা ও বীর বাহাদুর ত্রিপুরাকে গ্রেফতার করে। সেলিম উদ্দিনসহ ৬ জন মিলে আমার ভাইকে হত্যা করেছে বলে আইনশৃংখলা বাহিনীকে স্বীকারোক্তি দেয় আসামীরা।

পরবর্তীতে গ্রেফতার হওয়া সাবের আহমদও একই স্বীকারোক্তি দেয়। সেলিম উদ্দিন, জয়নাল আবেদীন ভেট্টু ও তার ভাই জমির উদ্দীন আলমগীর সিকদারের হত্যাকান্ডের প্রধান পরিকল্পনাকারী ও হত্যাকারী এবং নিজেরাও হত্যার সাথে সরাসরি জড়িত মর্মে হত্যাকারী আসামী সায়মন ত্রিপুরা, বীর বাহাদুর ত্রিপুরা ও সাবের আহমদ আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দিতে হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। এছাড়া পুলিশ তদন্তে হত্যার আগের দিন বিভিন্ন স্থানে অন্যান্য হত্যাকারীসহ সেলিম উদ্দিনের স্বশরীর উপস্থিতির সিসিটিভি ফুটেজ, লোহাগাড়া মামনি হাসপাতালে যাওয়ার সিসিটিভি ফুটেজ, লোহাগাড়ায় আবাসিক হোটেলে অবস্থান করার ফুটেজ প্রমাণ পায়। এমনকি যে কামারের দোকানে হত্যা করার জন্য দা বানিয়েছে সে ফুটেজও পায় তদন্তকারী কর্মকর্তা। তারপরও খুনি সেলিম, জোড়া খুন হত্যা মামলার আসামী ভেট্টু ও জমির আজ পর্যন্ত পলাতক। তবে নিজের ব্যবহৃত মোবাইল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সচল রেখেছেন। তারপরও গত ৬ বছরেও তারা গ্রেফতার হয়নি।

হত্যাকারীরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্রমাগত মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে। সর্বশেষ গত বছরের ২২ আগষ্ট ঢাকার মতিঝিল থেকে কুরিয়ারে স্বপরিবারে নির্মূল করার লিখিত হুমকি পাঠায় হত্যাকারী সেলিম।তাই এসব হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।সংবাদ সম্মেলনে নিহত আলমগীর সিকদারের বাবা মোঃ আলী সিকদারসহ বান্দরবানে কর্মরত সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর