কলাপাড়া প্রতিনিধি ॥
পটুয়াখালীর কলাপাড়ার লালুয়ায় অধিগ্রহনকৃত ভূমির ক্ষতিপূরন প্রদানের মানচিত্র পরিবর্তন করে প্রকৃত ভূমি মালিকদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গনপূর্ত বিভাগের সার্ভেয়ারদের ভূল বুঝিয়ে অন্যের পুকুর, বাগান বাড়ী নিজেদের নামে দেখিয়ে এসব কাজ করা হয়েছে বলে জানা যায়। এমনকি নদী গর্ভে বিলিন জমিতে বসতবাড়ী দেখিয়ে এওয়ার্ড মানি হাতিযে নেয়ার অবিযোগ করা হয়েছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্থ প্রকৃত ভূমি মালিকরা মানচিত্র সংশোধনের মাধ্যমে ন্যায্য পাওনা প্রদানের জন্য জেলা প্রশাসকের দ্বারস্ত হয়েছেন।
অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার বানাতিপাড়া মৌজার এসএ ৮৯ নম্বর ক্ষতিয়ানের পাঁচটি দাগের রেকর্ডীয় মালিক ইমানালীর কাছ থেকে আরমান, নয়ন ও করিম জমি ক্রয় করেন। দীর্ঘ পাচ বছর ধরে তারা এসব দাগের জমিতে বসতভিটা এবং পুকুর ও মাছের তৈরি করে মৎস্য চাষ করে আসছেন। এ জমির মালিকানা নিয়ে একই এলাকার জাফর প্যাদা, ফোরকান প্যাদা ও আলমগীর হোসেনের সাথে পটুয়াখালী প্রথম যুগ্ন জেলা জজ আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। যা নিয়ে বর্তমানে আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। দেওয়ানি মামলা নং ১৩/২০১৭।
অভিযোগে আরো বলা হয়, এসব জমি পায়রা সমুদ্র বন্দরের জন্য সরকারের ভূমি অধিগ্রনের আওতায় আসলে জমির মালিকানা নিয়ে চলমান বিরোধ এবং মামলার বিষয়টি গোপন রেখে গনপূর্ত বিভাগের জরিপকারী সার্ভেয়ারদের ভূল তথ্য প্রদান করে জাফর প্যাদা, ফোরকান প্যাদা ও আলমগীর হোসেন। বিবাদমান জমির মালিক না হলেও এই জমির পুকুর, বাগান বাড়ী নিজ মালিকা দেখিয়ে নিজেদের নামে ক্ষতিপূরনের এ্যাওয়ার্ড তৈরী করেন। এ্যাওয়ার্ড নম্বর ৩০১, ৩০২ ও ১৯৬। এত ক্ষতিপুরন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন আলমগীর খান, আকতার খান, সাহিদা পুস্প ও মহিউদ্দিন ওরফে সোনা মিয়া। শুধু তাই নয়, একই মৌজার ১৪৫ নম্বর খতিয়ানের ৬৬৮ নম্বর দাগের নদী গর্ভে বিলীন একটি মাছের ঘের এবং ৪৫ নম্বর খতিয়ানের ৬৭৯ নম্বর দাগের রেডক্রিসেন্টের একটি ঘরকে নিজের বসতবাড়ী উল্ল্যেখ করে ক্ষতিপূরন পাওয়ার প্রত্যাশায় গনপূর্ত বিভাগকে ভূল তথ্য প্রদান করেন। একই এলাকার মিজানুর রহমান গোলদার পটুয়াখালী ভূমি হুকুম দখল কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, ফোরকান প্যাদা ,জাফর প্যাদা ও আলমগীর হোসেন তার পুকুর এবং বাগান বাড়ি নিজের দেখিয়ে ক্ষতিপূরন পাওয়ার জোড় প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।
তবে এসব অভিযোগকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন উল্ল্যেখ করে ফোরকান প্যাদা বলেন, আমাদের জমির মালিকার পক্ষে আদালতের বেশ কয়েকটি রায় রয়েছে। বরং অভিযোগকারীরাই মামলা মোকদ্দমাসহ বিভিন্নভাবে তাদের হয়রানী করে আসছেন। এবিষয়ে জানতে চাইলে পটুয়াখালী ভূমি অধিগ্রহন শাখার সার্ভেয়ার ইব্রাহিম জানান, এরকম একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে মাঠ পর্যায়ে কাগজপত্র ও প্রকৃত তথ্য যাইয়ের সিদ্বান্ত গ্রহন করা হয়েছে। ভূল তথ্য প্রদানের অভিযোগ সত্য প্রমানিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। ক্ষতিগ্রস্থরা ন্যায্য প্রাপ্য পাবেন।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/রুহুল আমিন