স্টাফ রির্পোট
কক্সবাজারের মহেশখালীর থানার কুতুবজুম ইউনিয়নের চিংড়ি ঘের ও লবণের মাঠ নিয়ে এলাকাবাসী গণস্বাক্ষর দিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে দায়েরকৃত অভিযোগের প্রতিকার পাওয়ার দাবি
কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার অর্ন্তগত ৮নং কুতুবজুম ইউনিয়নের চিংড়ি ঘের ও লবনের মাঠ নিয়ে দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। এ নিয়ে যে কোন সংঘাত সংঘর্ষের আশংকা করছে এলাকাবাসি। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসককে গণস্বাক্ষর দিয়ে লিখিত আবেদন করেছেন ভুক্তভোগি লোকজন।
লিখিত আবেদনে জানানো হয়, মহেশখালী ঘটিভাঙ্গা মৌজার বড়গোনা বিএস খতিয়ান নং-১, দাগ নং- ১৯৮, ১০৯৯, ১১০০ এর ১৫০ একর এবং হরুখালীঘোনার বিএস খতিয়ান নং-১, দাগ নং-১১০১, ১১০০, ৪১৫৭ এর ৮০ একর জমির ভোগ দখলীয় মালিক ও মমতাজ আহমদ গং। দীর্ঘ বছর ধরে তারা উক্ত জমিতে ভোগ দখল রয়েছে। কিন্তু পৌর মেয়র ও তার ভাই আবু বকর ছিদ্দিক দখলবাজ ও সশস্ত্র রহিম বাহিনী ব্যবহার করে তাদের জমি দখলের পাঁয়তারা চালাচ্ছে। এতে করে যে কোন সময় সংঘাত-সংঘর্ষের আশংকা করছে এলাকাবিাসি। তাছাড়া তাদের বিরুদ্ধে এলাকাবাসি গণস্বাক্ষরও করেছে।
অভিযোগকারি জানান, মকছুদ মিয়া মহেশখালী পৌরসভার মেয়র ও আবু বকর ছিদ্দিক উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি। তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে দখলবাজি ও চাঁদাবাজি চালাচ্ছে।
ভুক্তভোগি মাস্টার মোঃ জহির বলেন, ক্ষমতার অপব্যবহার করে আমাদের দীর্ঘদিনের ভোগ দখলীয় জমি সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনী দিয়ে দখলে নিতে বেশ কয়েকবার চেষ্টা চালানো হয়েছে এবং পুলিশ বাহিনীর সহযোগিতায় তাহাদের বসত বাড়ি ভাংচুর করে বাড়ির মালামাল লুটপাট করা হয়েছে। এখনো এ চেষ্টা অব্যাহত আছে।
জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগে আরো বলা হয়, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে এরা নানা ক্ষেত্রে বির্তকিত। এরা যুদ্ধাপরাধি পরিবারের সদস্য বলে অভিযোগ রয়েছে। এদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হোক।
এলাকাবাসীর পক্ষে
মাস্টার মোঃ জহির ও মমতাজ মিয়া
৮নং কুতুবজুম, মহেশখালী, কক্সবাজার।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/রুহুল আমিন