মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার :
মৌলভীবাজার মডেল থানার ভেতরে ঢুকলে যে লেখাটি চোখে পড়ে তা হল সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে কোনো অর্থের প্রয়োজন নেই। কিন্তু এই কথার সঙ্গে বাস্তবের কোনো মিল নেই। ঠিকই জিডি করার বিনিময়ে নেয়া হচ্ছে টাকা। আবার নিখোঁজ হওয়া ব্যাক্তিকে ফিরে পেতে অথবা হারিয়ে যাওয়া জিনিষটি খুজে পেতে তা থানাকে লিখিত ভাবে অবহিত ( প্রত্যাহার জিডি) করলেও দিতে হয় টাকা। জানা গেছে- মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ১২নং গিয়াসনগর ইউনিয়নের রনভীম (লাইংলা) গ্রামের মোঃ আব্দুল জলিলের পুত্র মোঃ সেলিম মিয়া গত ২৫ জানুয়ারি নিখোঁজ হন। নিখোঁজ সেলিম মিয়া বেশ কিছুদিন যাবৎ মানসিক ভাবে অসুস্থ ছিল। এ ব্যাপারে গত ৩১ জানয়ারি মৌলভীবাজার মডেল থানায় তার ভাই রাসেল আহমদ ০১৭৫১৭৩৪৭৭১ মোবাইল নম্বরে যোগাযোগের অনুরোধ জানিয়ে মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরী (ডায়েরী নং ১৫৩৫, তারিখঃ ৩১/০১/২০১৮ইং) করা হয় । এ সময় সেখানে কর্তব্যরত পুলিশ সাধারন ডায়েরী করার জন্য তাদের কাছ থেকে ৫ শত টাকা আদায় করেন। সর্বশেষ গত ১১ ফেব্রুয়ারি সেলিম তার আন্তীয় স্বজনদের মাধ্যমে বাড়ীতে ফিরে আসলে বিষয়টি মৌলভীবাজার মডেল থানায় অবহিত করা হলে ঐ জিডির দায়িত্বপ্রাপ্ত এসআই নুরুল ইসলাম জিডি প্রত্যাহার করার জন্য ৭শত টাকা আদায় করেন। মোঃ সেলিম মিয়ার ভাই রাসেল আহমদ জানান- গত ১১ ফেব্রুয়ারি আমার ভাই বাড়ীতে ফিরে আসলে আমরা সাথে সাথে বিষয়টি ঐ জিডির দায়িত্বপ্রাপ্ত এসআই নুরুল ইসলাম এর মাধ্যমে থানায় লিখিত ভাবে অবহিত করি। প্রতিদিন আমিও আমার বড় ভাই গ্রাম থেকে থানায় আসি। কিন্তু, ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আমাদের ঐ জিডি প্রত্যাহার করার আবেদনটি নিশ্চিত করেননি। একটি নিখোঁজ জিডি থানায় গ্রহন করতে ৫শত এবং প্রত্যাহার করতে ৭শত টাকা এবং ৯দিন অতিবাহিত এমন প্রশ্নের জবাবে এসআই নুরুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে বলেন- ব্যস্ততার কারণে তাদের জিডি প্রত্যাহার গ্রহন করতে পারিনি। টাকা দেওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়। মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহেল আহম্মেদ বলেন- জিডি করতে টাকা লাগেনা। অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/রুহুল আমিন