ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
ছয় মাসের মধ্যে মেট্রোরেল দৃশ্যমান হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। মেট্রোরেলের অগ্রগতি এখন পর্যন্ত ১০ থেকে ১২ ভাগ বলেও জানান তিনি। গতকাল বুধবার দুপুরে উত্তরায় মেট্রোরেলের কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি। জামায়াতের হরতাল প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, জামায়াতের হরতাল সহিংস রূপ নিলে জবাবও হবে সেরকম। উপযুক্ত জবাব দেয়া হবে- যোগ করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, তাদের সহিংসতার কোনো পজেটিভ রেজাল্ট নেই। মির্জা ফখরুল প্রসঙ্গে কাদের সাংবাদিকদের বলেন, উনারে কাঁদতে বলেন। উনি হতাশ হয়ে চোখের জল ফেলছেন। চেয়ারপারসন কবে আসবেন তা কেউ জানে না। তাই তিনি কখনও এটা কখনও সেটা বলে নেতাকর্মীদের চাঙা রাখার চেষ্টা করছেন। তার অবস্থায় পড়লে আমারও কি হতো। সেটা আমাদের ভাগ্যে, হয়নি। প্রধান বিচারপতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উনিতো মেরুদ-হীন না। জোর করে বিদেশ পাঠানো হলে উনি নিজেই বলতেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, মেট্রোরেলের কাজ শুরুর পর হলি আর্টিজানের ঘটনা একটু পিছিয়ে দিয়েছে। কিন্তু জাইকার ফান্ডিং বন্ধ হয়নি। কাজ এখন পুরোদমে চলছে। কাজে কোনো গাফিলতি নেই। জাইকার পুরো টিম কাজ করে যাচ্ছে। পদ্মাসেতুর সঙ্গে তুলনা করে ওবায়দুর কাদের বলেন, পিয়ারের ওপর স্প্যান বসানোর পর পদ্মা সেতু যেভাবে দৃশ্যমান মেট্রোরেলও আগামি ছয় মাসের মধ্যে একইভাবে দৃশ্যমান হবে। তিনি বরেন, ২০১৯ সালে প্রথম পর্যায়ে আগরগাঁও পর্যন্ত এরপর ২০১০ সালে মতিঝিল বাংলাদেশ পর্যন্ত শেষ হবে। ঢাকায় আরও দুটি মেট্রোরেলের প্রসেস আন্ডারওয়ে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এমআরটি লাইন-১ এবং ৫ -এর জন্য জাপান সরকার অর্থ বরাদ্দ প্রক্রিয়ার মধ্যে হয়েছে। লোন চুক্তি হয়ে গেছে। ওই দুটি মেট্রোরেলের বড় অংশ আন্ডারগ্রাউন্ড হবে। জামায়াতের ডাকা হরতাল নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে ওবায়দুল কাদের বলেন, সহিংসতা সৃষ্টি করে কোনো আন্দোলন সফল করা যায় না সেটা ৫ জানুয়ারির নির্বাচন উত্তর পরিস্থিতিতে প্রমাণ হয়ে গেছে। বিএনপি এবং তার সহযোগিরা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে। সহিংস রাজনীতির কোনো পজেটিভ রেজাল্ট নেই। আওয়ামী লীগ নেতাকমীরা হরতাল প্রতিরোধে মাঠে থাকবে কি না এমন প্রশ্নে কাদের বলেন, কোনো প্রয়োজন নেই। সেই অবস্থা বিরোধীদের এখন নেই। আন্দোলন করার সক্ষমতা তাদের নেই। সহিংসতা করলে উপযুক্ত জবাব তারা পাবে। দলটি বলছে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার স্বীকার এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সহিংসতার প্রস্তুতি বৈঠক হাতে নাতে পাওয়া যায় তাহলে তো আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা বসে থাকবে না।