ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায় আসামিকে না পেয়ে তার চাচাকে ‘পিটিয়ে হত্যার’ ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে পুলিশ। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন জানান, গতকাল মঙ্গলবার সকালে তার নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির বাকি সদস্যরা হলে সহকারী পুলিশ সুপার (সদরদপ্তর) একরামুল হক ও গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক মুনিরুল ইসলাম। কমিটিকে আগামি সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে বলে বেলায়েত জানান। গত সোমবার ভোরে কালাই উপজেলার হারুঞ্জা গ্রামে শাপলা হোসেন (৩২) নামে এক আসামিকে ধরতে না পেরে তার চাচা সাইদুর রহমানকে পুলিশ মারধর করে বলে স্বজন ও এলাকাবাসীর অভিযোগ। এক পর্যায়ে তিনি অজ্ঞান হয়ে গেলে তাকে কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত বলেন, সাইদুরের ভাতিজা শাপলার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রয়েছে। শাপলাকে ধরতে গত সোমবার ভোরের দিকে হারুঞ্জা গ্রামে পুলিশ অভিযান চালায়, সেখানে সাইদুরের মৃত্যু হয় বলে তারা খবর পান। পুলিশের নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়েছে বলে পরিবার ও স্বজনদের অভিযোগের পর কালাই থানার এসআই আসাদুজ্জামান, রফিকুল ইসলাম রফিক, কন্সটেবল রাশেদুল ইসলাম ও সেলিম রেজাকে সমায়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। এদিকে এ ঘটনায় সাইদুরের বাবা কাজেম আলী কালাই গত সোমবার রাতে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে বেলায়েত জানান।