কুলাউড়ায় ইউপি সদস্যের উপর সন্ত্রাসী হামলায় ১১ দিনেও কোন আসামী গ্রেফতার হয়নি
মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার
কুলাউড়ায় ইউপি সদস্যে মনির মিয়া ও তার বড় ভাইয়ের উপর সন্ত্রাসী হামলায় ১১ দিনেও কোন আসামী গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ উভয় পক্ষের পৃথক দুটি মামলা গ্রহন করেছে। জানা যায়, কাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের নোওয়াগাও-কাকিচার গ্রামের লোকজনের চলাচলের রাস্তা নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছিলো। এ বছর বন্যার পানিতে ডুবে রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়লে ইউপি সদস্য মনির মিয়া তাদেরকে নিষেধ করলে উভয় পক্ষের মধ্যে এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে গত ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় কাকিচার সিএনজি পাম্পের নিকটে আসামীরা মনির মিয়ার পক্ষের লোক মোঃ আরমান মিয়ার উপর হামলা চালিয়ে তাকে মারধর করে। পরে রাত ৮টায় ব্রাহ্মনবাজারস্থ আল-হেলাল ভেরাইটিজ স্টোরের সামনে ইউপি সদস্য মনির মিয়া ও তাঁর বড় ভাই মোঃ সেন্টু মিয়ার উপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে তাদেরকে লাটিসোটা ও লোহার রড দিয়ে মারপিট করে মারাত্মকভাবে আহত করে তাদের কাছে থাকা নগদ ৬৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় হামলাকারীরা। আহত ইউপি সদস্য মনির মিয়াকে কুলাউড়া হাসপাতালে ও গুরুতর আহত তাঁর বড় ভাইকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি প্রেরন করা হয়। এ ঘটনায় ইউপি সদস্য মনির মিয়া বাদী হয়ে কুলাউড়া থানায় গত ২৬ সেপ্টেম্বর কাদিপুর ইউনিয়নের কাকিচার গ্রামের আব্দুল জব্বারের পুত্র মোঃ সুহেল মিয়া (২৬). মোঃ হেলাল মিয়া (৫০), আলাল মিয়া (৪৭), মোঃ জালাল আহমদ (৪৫), লক্ষিপুর গ্রামের মৃত উদয় বিশ্বাসের পুত্র অরুন বিশ্বাস (৩০), গবিন্দপুর গ্রামের জলই মিয়ার পুত্র লিপ্টন মিয়া (৩০), আব্দুল হকের পুত্র মোঃ জুয়েল মিয়া (৩৫) সহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে মামলায় আসামী করে মামলা মামলা (নং-৩২) দায়ের করেন। অপরদিকে, ২৬ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১০টায় এ মামলা থানায় রেকর্ড করার মাত্র ৩৫ মিনিট পর ইউপি সদস্য মনির মিয়া ও তাঁর ভাইদের আসামী করে কাকিচার গ্রামের মৃত মুকিম মিয়ার ছেলে মোঃ আব্দুল জব্বার আরেকটি মামলা (নং-৩৩) দায়ের করলে পুলিশ সেই মামলাটিও রেকর্ড করে। উভয় মামলার তদন্তের দায়িত্ম দেয়া হয় এসআই কানাই লাল চক্রবর্ত্তীকে। দুটো মামলা রেকর্ডের ১১ দিন পরও এখনো মামলা তদন্তাধীন রয়েছে।