ছাতকের ১২জনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার উপজেলার নোয়ারাই ইউপির রাজারগাঁও গ্রামের মৃত উস্তার আলীর পুত্র মো. শহিদুল ইসলাম সরু বাদি হয়ে সুনামগঞ্জ আমলগ্রহণকারি জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। বৃহস্পতিবার আদালত মামলাটির পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণের জন্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রেরণ করেছেন। মামলায় নোয়ারাই ইউপির আছদনগর গ্রামের মৃত মফিজ আলীর পুত্র আজিজুর রহমান (৭৩) ও সাদক আলী (৭০), মৃত ওয়াজিদ আলীর পুত্র রমজান আলী (৬৮), মৃত চান্দ আলীর পুত্র সিরাজ আলী (৬৯), মৃত মন্তাজ আলীর পুত্র এতিম উল্লা (৭০), বেতুরা গ্রামের মৃত ছিদ্দিক আলীর পুত্র খোয়াজ আলী (৭৩), মৃত মুজেফর আলীর পুত্র মুসলিম আলী (৭০), মৃত মাহমদ আলীর পুত্র ইছবর আলী (৬৩), মির্জাপুর গ্রামের মৃত মছদ্দর আলীর পুত্র ইলিয়াছ আলী (৬৮), মৃত রুছমত আলীর পুত্র ছুরত আলী (৬৪), মৃত ইছাক আলীর পুত্র ছুরাব আলী (৭৩), মৃত হুশিয়ার আলীর পুত্র ওয়ারিছ আলী (৬৯) সহ আরো ২৫/৩০জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। বাদি অভিযোগে বলেন, ১৯৭১সালে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে আসামিরা সরাসরি মুক্তিযুদ্ধের বিপে অবস্থান করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর পে সক্রিয়ভাবে অবস্থান নিয়ে এলাকার বহু নিরীহ লোকজনদের বসত-বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট, চুরি-ডাকাতি ও অগ্নিসংযোগ করে। পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধের পাশ্রিত লোকদের পরিবারের সম্ভ্রমহানি, ধর্ষণ, খুনও লাশ গুমসহ এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। আসামিরা তৎকালীন শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান মৃত মতচ্ছির আলীর (ফকির চেয়ারম্যান) বাড়িতে বৈঠক করে স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বাদির পিতা শহীদ উস্তার আলীসহ ওই সময় তাদের বাড়িতে আশ্রয় নেয়া মো. নুরুল ইসলামের পিতা শহীদ আব্দুছ ছামাদ, আব্দুল মানিকের দাদি হাজি ফুলজান বিবি ও শহীদ সোনা উদ্দিনসহ আরো ৪/৫জনকে হাত, পা ও চোখে কালো কাপড় দিয়ে বেঁেধ আছদনগর (বেতুরা) গ্রামের কাছে সুরমা নদীর তীরে লঞ্চঘাটে একসাথে লাইনে দাঁড় করে ব্রাশফায়ারে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়।