January 15, 2025, 10:59 pm

সংবাদ শিরোনাম
ভিসা জটিলতায় বেনাপোল বন্দরে পরিবহন ব্যাবসার ধ্বস তেজগাঁও থানা ছাত্রদলের শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি সম্পন্ন শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি প্রজেক্টরে ভেসে উঠায় স্থানীয় জনতার প্রতিবাদ ঢাকায় দুই ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম করলেন সন্ত্রাসীরা: বেনাপোলে ভারতীয় ভয়ঙ্কর ট্যাপেন্টাডোল জব্দ মধুপুর উপজেলা মেম্বার ফোরামের উদ্যোগে তিন শতাধিক কম্বল বিতরণ লামায়-আলীকদম অনুপ্রবেশকালে ৫৮ মিয়ানমার নাগরিকসহ ৫ দালাল আটক শিবচরে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের লিফলেট বিতরন মধুপুর উপজেলা মেম্বার ফোরামের উদ্যোগে তিন শতাধিক কম্বল বিতরণ সেনাবাহিনীর অভিযানে নবীগঞ্জ থেকে দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

রাম রহিমের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন হানিপ্রীত

রাম রহিমের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন হানিপ্রীত

ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক

কান্নায় ফুঁপিয়ে উঠছেন। কোনও রকমে যে সেই কান্না চাপার চেষ্টা করছেন সেটাও স্পষ্ট। চোখ-মুখও প্রায় ফ্যাকাসে। ভিজে যাওয়া চোখে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বারে বারে একটা কথাই বলছেন, তিনি নির্দোষ। নির্দোষ তার ‘বাবা’ রাম রহিমও।

সম্প্রতি ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এমন ভাবেই দেখা গেল বহুল আলোচিত নারী হানিপ্রীত ইনসানকে। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই তিনি পঞ্জাব-হরিয়ানা হাইকোর্টে আত্মসমর্পণ করবেন তিনি।

বাবা’কে যে দিন পঞ্চকুলার আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়, সে দিন তার সঙ্গে ছিলেন রাম রহিমের পালিত কন্যা হানিপ্রীত। কিন্তু, রাম রহিমকে দোষী সাব্যস্ত করার পরেই পঞ্চকুলায় চূড়ান্ত তা-ব চালায় ডেরা সচ্চা সৌদার ভক্তেরা। অভিযোগ সেই তা-ব হানিপ্রীতের নির্দেশেই হয়েছিল। এ প্রসঙ্গে হানিপ্রীত বলেন, আমাকে যে ভাবে উপস্থাপিত করা হয়েছে, তাতে এখন নিজেকেই নিজে প্রচ- ভয় পাচ্ছি। চূড়ান্ত মানসিক চাপে রয়েছি। কী করব বুঝতে পারছি না। আমাকে প্রশাসন অনুমতি না দিলে কী ভাবে আদালত চত্বরে যেতাম।! কী ভাবেই বা বাবার সঙ্গে চপারে উঠতাম! ওঁরাই আমাকে অনুমতি দিয়েছিলেন। আমি কোথায় ছিলাম, তা-বের

হানিপ্রীতের কথায়, আমি বুঝতে পারছি না। বাবা- মেয়ের এমন পবিত্র সম্পর্ককে এরা কোথায় নামিয়েছে! আমি জানতে চাই, এক জন বাবা তার মেয়ের মাথায় হাত রাখে না? এক জন মেয়ে তার বাবার কাছে যায় না? অবশ্য হানিপ্রীত তার প্রাক্তন স্বামী বিশ্বাস গুপ্তকে নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।

গত অগস্টের শেষ দিকে ডেরা প্রধানকে দোষী সাব্যস্ত করার দিন থেকেই পলাতক ছিলেন হানিপ্রীত। সীমান্ত পেরিয়ে তিনি নেপালে চলে গিয়েছেন বলেও বারে বারে খবর হয়। কিন্তু, হানিপ্রীতের কোনও সন্ধান পায়নি পুলিশ। গত সপ্তাহে দিল্লি হাইকোর্টে তার আইনজীবী ট্রানজিট অ্যান্টিসিপেটরি জামিনের আবেদন করেন। আদালত সেই আর্জি খারিজ করে দেয়। ওই সাক্ষাৎকার হানিপ্রীত বলেন, আমি কোথাও যাইনি। নেপাল তো নয়ই। ভারতেই ছিলাম। আসলে সকলের সামনে আসতে পারিনি, এতটাই ডিপ্রেশনে ছিলাম। পঞ্জাব-হরিয়ানা হাইকোর্টে আত্মসমর্পণ করব।

হানিপ্রীতের অভিযোগ, ডেরায় হাজার হাজার মহিলা রয়েছেন। সেখান থেকে মাত্র দু’জনের অভিযোগকেই গুরুত্ব দেওয়া হল কেন? এবং তা-ও চিঠির বয়ানের ভিত্তিতে! কেন ওই মহিলারা সামনে এলেন না? প্রশ্ন হানিপ্রীতের। ওই সাক্ষাৎকারে হানিপ্রীত জানিয়েছেন, তিনি নির্দোষ। কোনও ঘটনার সঙ্গেই তার যোগ নেই। এমনকী ‘বাবা’ রাম রহিমও নির্দোষ।

হানিপ্রীত বলেন, সত্য সামনে আসবেই। তখন গোটা দুনিয়া আমার কথা মিলিয়ে নিতে পারবে। আমরা প্রবল দেশভক্ত। দেশকে প্রচ- ভালবাসি। পাশাপাশি আমি আইন মেনে চলা এক জন মহিলা। তাই এই তদন্তে সব রকম ভাবে সাহায্য করতে তৈরি আছি।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর