কূটনীতিকদের ব্রিফ: রোহিঙ্গা ইস্যুতে জোরালো ভূমিকার প্রত্যাশা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে কূটনীতিকদের আরও জোরালো ভূমিকা চাইলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিদেশি কূটনীতিকদের ব্রিফিংয়ে এ প্রত্যাশার কথা জানান তিনি। রোহিঙ্গা সঙ্কটের সবশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরতে গতকাল বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বিদেশি কূটনীতিকদের ব্রিফিং করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন। ব্রিফিং শেষে ড. একে আবদুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে কূটনীতিকদের আরও জোরালো ভূমিকা রাখার জন্য আহ্বান জানিয়েছি। এক প্রশ্নের উত্তরে ড. মোমেন বলেন, রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে চীন মধ্যস্থতা করতে চায়। তারা এ বিষয়ে আমাদের আশ্বস্ত করেছে। আরেক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, যেসব এনজিও রোহিঙ্গাদের নানাভাবে বিভ্রান্ত করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মিয়ানমার গণহত্যা চালালেও তাদের সঙ্গেই যুক্তরাষ্ট্র সামরিক মহড়া চালাচ্ছে- এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এটা আপনারাই যুক্তরাষ্ট্রকে জিজ্ঞাসা করুন, কেন তারা মহড়া চালাচ্ছে। সূত্র জানায়, গত ২২ আগস্ট দ্বিতীয়বারের মতো রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ভেস্তে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এ ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। এ সময় রোহিঙ্গা সঙ্কটের সবশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরে তাদের কাছে সহায়তা চাওয়া হয়। রোহিঙ্গা সঙ্কট শুরুর পর থেকে বিভিন্ন সময় সরকারের পক্ষ থেকে বিদেশি কূটনীতিকদের কাছে পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় এ উদ্যোগ নেওয়া হয়। মোমেন বলেন, যদি কোনো এনজিওর বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের উস্কানি দেয়ার প্রমাণ মেলে তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, তারা (এনজিও) শর্তের বাইরে রাজনৈতিক কাজকর্ম করছে কিংবা উস্কানি দিচ্ছে যদি এমন কাজের প্রমাণ পাই তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে সশস্ত্র গ্রুপ কাজ করছে-এ ধরনের কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। তবে একটি ঘটনা ঘটেছিল, সঙ্গে সঙ্গে তাদের আটক করেছি। একটি দল কিছু দা-কুড়াল বানিয়েছিল, আমরা তাদের অ্যারেস্ট করেছি। যারা এ কাজে রোহিঙ্গাদের সহায়তা করেছিল তাদের সম্পর্কে তথ্য নিচ্ছি। তথ্য নেয়ার পরে তাদের আমরা বের করে দেব।