-
- অপরাধ, সারাদেশে
- পিরোজপুরের স্বরূপকাঠীতে বাল্যবিবাহ সহযোগিতায় নামধারি সাংবাদিক
- আপডেট সময় August, 28, 2019, 12:08 am
- 176 বার পড়া হয়েছে
অনিমেশ হালদার,পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
প্রতিকি ছবি
পিরোজপুরের নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠী) উপজেলার ১নং বলদিয়া ইউনিয়নে কথিত দুই সাংবাদিকের সহযোগীতায় বাল্যবিবাহ হয়েছে।এবিষয়ে ইউপি সদস্য সুমন জানায়, গত ২৩ অাগস্ট শুক্রবার উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের বয়া গ্রামের মোঃ মজিবুর রহমানের ছেলে অাহাদুলের সাথে নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া জিলবাড়ি সান্টু মিয়ার মেয়ের বিবাহ হয়। কথিত সাংবাদিক তারেক স্থানীয় মেম্বর মোঃ সুমন মিয়াকে মুঠোফোনে উক্ত বাল্যবিবাহের অনুষ্ঠানে আসার জন্য বলে। কিন্তু ইউপি সদস্য তাদের ডাকে সাড়া না দেয়ায় কম্পিউটার কম্পোজের কাজ থেকে সদ্য সাংবাদিক বনে যাওয়া তারেক এবং যৌন উত্তেজক ঔষধ বিক্রেতা বানারীপাড়ার মলুহার গ্রামের কথিত সাংবাদিক সুমন খান উক্ত মেম্বর সুমনের ঘরে উপস্থিত হয়। এসময় মেম্বরের ঘর ভর্তি আত্নীয় স্বজনদের উপস্থিতিতে তারেকের ফোন কল অনুযায়ী কন্যা পক্ষকে নিয়ে ছেলের বাড়ি না যাওয়ায় অকথ্য ভাষায় সুমন মেম্বরকে গালাগাল করে। এক পর্যায় মেয়ের বাবা ও ছেলের বাবার সমন্বয়ে মোটা অংকের টাকা চাঁদা নিয়ে বাল্য বিয়ে সম্পন্য করেন।এব্যাপারে পাত্রের দাদা মোঃ নূরুল হক জানায়, অামি পাত্র পাত্রীর দুই পক্ষ থেকে সমপরিমাণ টাকা ধার্য করে তাদের বুঝ করেছি। তবে ইউপি সদস্য সুমন এ প্রতিবেদককে বলেন, ভাই এদের( তারেক ও সুমন) মত টাকার জন্য পাগল কোন সাংবাদিক আমার জীবনে দেখিনি।এবিষয়ে কথিত সাংবাদিক তারেক বলেন, সেখানে কোন লেনদেন হয়নি অামরা দেখে চলে এসেছি।এবিষয়ে স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,সরকার বাল্যবিবাহের প্রতি তৎপর হলেও প্রশাসনের চোখকে ফাকি দিয়ে নিজেদের পকেট ভারি করার লক্ষে কিছু সংখ্যক সরকারি অামলা সহ কথিত সাংবাদিক মিলে শত শত নাবালক ও নাবালিকাদের জীবন নষ্ট করে দিচ্ছে, রক্ষক ভক্ষকের রূপ নিয়েছে। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার আব্দুল্লাহ্ বাবু মামুন বলেন, ইউপি সদস্য সুমনকে ডেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখব এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করব।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/২৮ আগস্ট ২০১৯/ইকবাল
এ জাতীয় আরো খবর