এস,এম, আলাউদ্দিন সোহাগ, পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধিঃ
খুলনার পাইকগাছার কপিলমুনি ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে করুণ অবস্থার অন্ত নেই। নিচতলা পরিত্যক্ত, ভাঙ্গা-চোরা দ্বিতল ভবনে ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় চলছে অফিসিয়াল কার্যক্রম। পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি বাজারে ১৯৬০ সালে মাত্র ৫ শতক জমির উপর ইউনিয়ন কাউন্সিলের ভবন স্থাপিত হয়। প্রতিষ্ঠার কয়েক বছরে পরে যেটাকে দ্বিতল ভবনে রূপান্তর করা হয়। অথচ, তার করুণ অবস্থা দেখলে মনে হয় দেখার কেউ নেই। দ্বিতল ভবনের দেয়াল ও ছাদের প্লাস্টার ধ্বসে পড়ছে। দোতলায় ৪টি কক্ষের মেঝের খোয়া ও বালি উঠে গেছে। বেরিয়ে গেছে ঢালাইয়ের রড। নিচতলার ৩ টি কক্ষ পরিত্যাক্ত। যা আবর্জনায় ভরপুর, পোকা মাকড়ে বাসা বাধছে। জানালা-দরজা নষ্ট। ইউনিয়নের ২২টি গ্রামের মানুষ প্রয়োজনে ঝুকি নিয়ে পরিষদে আসে সেবা নিতে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চেয়ারম্যান, মেম্বর, সচিব ও সাধারণ মানুষ ভাঙ্গা-চুরা অফিসে অফিসিয়াল দায়িত্ব পালন করছেন। উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের ভবনগুলো আধুনিক ও মনোরম পরিবেশে হলেও কপিলমুনি ইউনিয়ন পরিষদের ভবনটি তার ব্যতিক্রম। সে মানদাতার আমলের ভবনে চলছে জনসেবার কার্যক্রম। ইউনিয়ন পরিষদটি সংস্কার বা আধুনিকায়নে কোন সম্ভাবনায় নেই বলে ইউনিয়নের পরিষদের কোন কোন জনপ্রতিনিধিরা ক্ষোভ প্রকাশ করে। জরাজীর্ণ ও ঝুকিপূর্ণ ইউনিয়ন পরিষদ ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করার জন্য পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করা হয়েছে বলে জনপ্রতিনিধিরা জানায়। এছাড়া কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য ভবনটির একটি কক্ষ সংস্কারের জন্য খুলনা প্রশাসক বরাবর আবেদন করা হয়েছে। এ বিষয়ে চেয়ারম্যান মোঃ কওছার আলী জোয়ার্দার বলেন, জীবনের ঝুকি নিয়ে মেম্বর, সচিব ও গ্রামপুলিশ নিয়ে কার্যক্রম চালাচ্ছি। সেবা নিতে আসা অখিল বন্ধু মন্ডল বলেন, বিভিন্ন সময় কাজ নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে আসতে হয়। কিন্তু ভবনের এ করুণ অবস্থায় ভিতরে না থেকে বাইরে দাড়িয়ে কাজ মেটাতে হয়।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/০৫ আগস্ট ২০১৯/ইকবাল