-
- সারাদেশে, স্বাস্থ্য
- নতুন করে সিলেটে ডেঙ্গু আতঙ্ক দেখা দিয়েছে
- আপডেট সময় August, 4, 2019, 11:01 pm
- 168 বার পড়া হয়েছে
আব্দুস সামাদ আজাদ, সিলেট প্রতিনিধিঃ
নতুন করে সিলেটে ডেঙ্গু আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। , দক্ষিণ সুরমার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় ডেঙ্গু লার্ভার পাওয়ার খবরের পর থেকে এ আতঙ্ক আরও বেশি করে দেখা দিয়েছে। গত শনিবার বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে নতুন করে ১৪ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। সবমিলিয়ে এ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন ৯৯ জন রোগী। বর্তমানে ভর্তি রয়েছেন ৪০ জন। একই সময়ে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে আরও ৮ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন; বেসরকারি হাসপাতাল থেকে এ পর্যন্ত চিকিৎসা নিয়েছেন ৫৫ জন। বর্তমানে ৪০ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন।সিলেটের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা: নুরে আলম শামীম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ‘ওসমানী হাসপাতালের ডেঙ্গু কর্নারে নতুন করে আক্রান্ত চিকিৎসাধীন রোগীদের মধ্যে চারজন শিশু ও চারজন নারী রয়েছেন। আর বাকিরা পুরুষ। এর মধ্যে একজন শিশুকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে।’তিনি এও বলেন, ‘গত ২৪ জুলাই থেকে শনিবার বিকেল পর্যন্ত ওসমানী হাসপাতালের তিনটি ডেঙ্গু কর্ণারে (শিশু, নারী ও পুরুষ) ৯৯ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ৪০ জন এখনও ভর্তি রয়েছেন। বাকিরা ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। একই সময়ে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ৫৫ জন চিকিৎসা নেন বলেও জানান তিনি।’এদিকে শুরুর দিকে শুধু মাত্র ঢাকা ফেরত ডেঙ্গু রোগীরাই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছিলেন। তবে এখন সিলেট থেকে কেউ কেউ আক্রান্ত হচ্ছেন। এ কারণে সিলেটকে এডিস মশা মুক্ত বলা যাবে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগ সিলেটের পরিচালক ডা. দেবপদ রায়।তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত সিলেটে যারা ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন তার বেশিরভাগই ঢাকা থেকে আক্রান্ত হয়ে এসেছেন। তবে এখন সিলেটে থেকেও কেউ কেউ আক্রান্ত হচ্ছেন।তবে এডিস মশার অস্তিস্ত পাওয়ার পর এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। এ নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতনা বৃদ্ধির জন্য তিনি পরামর্শ দেন।সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম সুমন বলেন, ‘কদমতলীতে এডিস মশার অস্তিত্ব পাওয়ার খবরের প্রেক্ষিতে তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। একই সাথে সেখানকার ব্যবসায়ীদের পরিত্যক্ত টায়ার সরিয়ে নিতেও নির্দেশনা দিয়েছেন। সেখানে সিসিকের পক্ষ থেকে মশক নিধনের ওষুধ প্রয়োগ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. হিমাংশু লাল রায় বলেন, এডিস মশার ব্যাপারে সতর্কতা জারি করা হয়েছ। সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে সার্বক্ষণিক কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। আমরা নগরের বিভিন্ন জায়গায় সচেতনতামূলক বিলবোর্ড লাগাচ্ছি।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/০৪ আগস্ট ২০১৯/ইকবাল
এ জাতীয় আরো খবর