আবু বক্কর সিদ্দিক, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ধর্মপুর আব্দুল জব্বার ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ কর্তৃক এক প্রভাষক বিরুদ্ধে স্বারক্ষর জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে।
জানা যায়, উক্ত কলেজের সাময়িক বরখাস্তকৃত প্রভাষক (অর্থনীতি) এহেতেশামুল হক ডাকুয়া অধ্যক্ষ ছামিউল ইসলামের স্বাক্ষর জাল করে সুন্দরগঞ্জ শাখা সোনালী ব্যাংক লিমিটেড থেকে ৯ মাসের ১ লাখ ৩৩ হাজার ৫শ’ ৭৪ টাকা উত্তোলণ করেছেন মর্মে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ রয়েছে। অধ্যক্ষ তাঁর লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন- গত ২৫ জুন গোপনে প্রভাষক এহেতেশামুল হক ডাকুয়া উক্ত ব্যাংক থেকে উল্লিখিত পরিমাণের টাকা উত্তোলণ করেন। যা তিনি অবগত ছিলেন না। এমনকি তিনি সাময়িক বরখাস্তর কালের (৯ মাস) বেতন বিলে কোন স্বাক্ষর করেন নি। এছাড়া, প্রভাষক এহেতেশামুল হক ডাকুয়া ইতোপূর্বে উক্ত কলেজের একজন বিদ্যোৎসাহীকে পরিবর্তনের জন্য ডিজি প্রতিনিধি হিসেবে গাইবান্ধা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ- অধ্যাপক মিজানুর রহমানের নিকট একইভাবে অধ্যক্ষ ছমিউল ইসলামের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে প্রত্যয়ন পত্র গ্রহণ করেন। মর্মে অধ্যক্ষ ছামিউল ইসলাম কলেজের প্রভাষক এহেতেশামুল হক ডাকুয়ার বিরুদ্ধে উক্ত সোনালী ব্যাংক শাখা ব্যবস্থাপকসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেন। এব্যাপারে মুঠোফোণে পৃথক পৃথকভাবে কথা হলে প্রভাষক এহেতেশামুল হক ডাকুয়া নিজে স্বাক্ষর জালিয়াতির বিষয় অস্বীকার পূর্বক অপর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, অধ্যক্ষের অন্যান্য স্বাক্ষর সাথে গড়মিলে ব্যাপারটিও তার জানা নেই। গাইবান্ধা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ- অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, প্রত্যয়ন পত্র প্রদানের পর বিষয়টি জানতে পেয়ে ধর্মপুর আব্দুল জব্বার ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ ছামিউল ইসলাম এসে বিষয়টি অবগত করা পর বিষয়টি জেনেছি। সুন্দরগঞ্জ শাখা সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপক পঙ্কজ কান্তি রায়, অধ্যক্ষ ছামিউল ইসলাম কর্তৃক স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগ প্রার্থীর কথা স্বীকার করেন।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/০৪ আগস্ট ২০১৯/ইকবাল