আব্দুস সামাদ আজাদ,সিলেট প্রতিনিধিঃ
সিলেটের চার জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ১০৪ দৌড়িয়ে। সংশ্লিষ্ট জেলা স্বাস্হ্য কর্মকর্তা এ তথ্য জানান।সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা জানান, হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিন ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়লেও এখন পর্যন্ত সিলেটে থেকে আক্রান্ত হয়েছেন এমন কাউকে পাওয়া যায়নি। সিলেট জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. নুরে আলম শামীম জানান, প্রতিদিন হাসপাতালগুলোতে নতুন রোগী ভর্তি হচ্ছেন। তবে তাদের কারো সিলেটে অবস্থান করে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার হিস্টরি নেই। তারা বাইরে থেকে ডেঙ্গু ভাইরাস নিয়ে এসেছেন। তবে আক্রান্তদের অবস্থা ভালো। অনেকে সুস্থ হয়ে বাড়িতে যাচ্ছেন।সিলেট জেলা সিভিল সার্জন অফিসের দেওয়া তথ্য থেকে জানা যায়, গতকাল বুধবার সিলেটে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল মিলে সর্বমোট ৬১জন ডেঙ্গু রোগি ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে গতকাল দুপুর পর্যন্ত সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা ৩৭জন, দুপুর পর্যন্ত পরবর্তী ২৪ ঘন্টায় নতুন ১৩জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এছাড়া জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়েছেন ১১জন, ইবনেসিনা হাসপাতালে ৫জন, নর্থইস্ট মেডিকেলে ৩জন, উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩ জন, পার্কভিউ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১জন ও মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে ১জন রোগি ভর্তি হয়েছেন।মৌলভীবাজার সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলায় এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ২৫জন। এদের মধ্যে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ৮ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন, ৫ জন মৌলভী পলি ক্লিনিকে, ১ জন লাইফ লাইন হাসপাতালে এবং বাকী ৭ জন চিকিৎসকের পরামর্শে নিজ বাড়িতে আছেন। এছাড়া ৪ জনকে সিলেটে রেফার্ড করা হয়েছে।তাদের অবস্থা গুরুতর নয়। তবে অবস্থা গুরুত্বর হলে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। ডেঙ্গু আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালের চতুর্থ তলায় আলাদা ডেঙ্গু কর্ণার চালু করা হয়েছে। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। কিছু ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে মৌলভীবাজার জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়।মৌলভীবাজারের সিভিল সার্জন ডা. শাহজাহান কবির চৌধুরী বলেন, ডেঙ্গু মোকাবেলায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সতর্ক রয়েছে। মৌলভীবাজার জেলায় ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে ডেঙ্গু চিকিৎসার জন্য প্রস্তুতি রয়েছে। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৌলভীবাজারে এখনো কারো মৃত্যু হয়নি। আক্রান্তরা তত বেশী গুরুতর নয়।এদিকে, মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে আরোও ২৫টি রেপিড টেস্ট ডিভাইস দিয়েছেন মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র মো: ফজলুর রহমান। এর আগেও আরোও ২৫টি ডেঙ্গু নির্ণয় যন্ত্র দিয়েছিলেন।সুনামগঞ্জ সদর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের আবাসকি চিকিৎসক ডা. রফিকুল ইসলাম জানান, এই ৬ জনের মধ্যে দুইজন ভালো হয়ে বাড়িতে গেছেন। দুইজন সিলেটে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আর দুইজন সুনামগঞ্জ সদর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আক্রান্তরা ঢাকায় ছিলেন, সেখান থেকে ডেঙ্গু নিয়ে এসছেন, তবে তাদের অবস্থা ভালো।হবিগঞ্জ জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক ডা. রুহুল আমীন জানান, গতকাল বুধবার দুপুর পর্যন্ত হবিগঞ্জ ১২জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/০১ আগস্ট ২০১৯/ইকবাল