পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালী বাড়ছে প্রতিদিন ডেঙ্গুর প্রকোপ। আতংক বাড়ছে শহর বাসির মাঝে। গত ১৫ দিনে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপালে ১০ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে। হাসপাতালে নেই পর্যাপ্ত পরীক্ষা-নীরিক্ষা প্রয়োজণীয় সুবিধা॥ যার কারনে প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। এতে বিপাকে পড়েছেন নিম্নায়ায়ের খেটে খাওয়া মানুষ।হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, এ রোগে আক্রান্তরা হলেন সদর উপজেলার ভুরিয়া গ্রামের সুব্রত বিশ্বাস,জৈনকাঠির রিয়াজ,দুমকি উপজেলার দেলোয়ার হোসেন,বাউফল উপজলার এনামুল হক,সিদ্দিকুর রহমান,মৌকরনের সোহাগ মিয়া, শহরের কলাতলার রাকিুবুল হাসান,ইটবাড়িয়ার গৃহবধু আম্বিয়া বেগম, টাউন কালিকাপুরের আনিসুর রহমান।ডেঙ্গু আক্রান্ত পটুয়াখালী মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গৃহবধু আম্বিয়া বেগম জানান, আমি ঢাকাতে বেড়াতে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে জ্বর নিয়ে নিজ বাড়িতে আসলে আরো অসুস্থ হয়ে পরি। পরে আমি এখানে ভর্তি হই। চিকিৎসাধীন রোগীরা জানান, এখানে ডেঙ্গু রোগীর জন্য আলাদা কোন ওয়ার্ড নেই। অনান্য রোগীদের সাথে তাদের রাখা হচ্ছে। আবার বেড সংকটের জন্য ফ্লোরে বসে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের ডা: অনিন্দ গুপ্ত জানান, ডেঙ্গু হলে শরীরে ব্যাথা হয়। কিন্তু এ ধরনের ওষধ এখানে সরবরাহ নেই। তিনি বলেন, এ রোগের ক্ষেত্রে রক্তের ৩টি পরীক্ষার প্রয়োজন হয়। এর সিবিসি ও প্লাটিলেটের ব্যাবস্থা আছে এখানে। কিট রিয়েজেন্টের পরীক্ষার ব্যাবস্থা নেই।মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্ববধায়ক ডা: মো: সাইদুজ্জামান জানান, এ রোগ শনাক্ত করতে আলাদা কোন মেশিন এখানে নেই । নির্মুলে নেই কোন টিকাও। ফলে এ ক্ষেত্রে গনসচেতনতার কোন বিকল্প নেই।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/০১ আগস্ট ২০১৯/ইকবাল