March 24, 2025, 3:53 pm

সংবাদ শিরোনাম
বিশ্বনাথে যুবকের ঝুলন্ত লা শ উদ্ধার গংগাচড়ায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল কুড়িগ্রামে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ১৮ দিন বাড়িতে আটকে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ মৌলভীবাজার এসোসিয়েশন অব মিশিগানের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন জৈন্তাপুরে ২৫শে মার্চ গনহত্যা দিবস ও ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা শার্শার বৃদ্ধা হত্যা মামলার আসামী নারায়নগঞ্জ হতে আটক জামালপুরে তিস্তা নদী আমার অধিকার-সমস্যা ও প্রতিকার শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন বান্দরবানে স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীকে গনধর্ষনে অভিযোগ ৪ জনকে গ্রেফতার সিলেটে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত সরকারের সহকারী এ্যাটর্নি জেনারেল নিযুক্ত হলেন মোংলার কৃতি সন্তান মনিরুজ্জামান

মশার প্রজননস্থল ধ্বংস না হলে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

মশার প্রজননস্থল ধ্বংস না হলে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক

এডিস মশার প্রজননস্থানগুলো ধ্বংসে সফলতা না এলে ডেঙ্গুর প্রকোপ আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গতকাল বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক সেব্রিনা ফ্লোরা। তিনি বলেন, মশার প্রজননস্থল নির্মূলে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, আমরা সবাই মিলেই জোরেশোরে অ্যাট সোর্স (মশার প্রজননস্থানগুলোতে) মশা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে যাচ্ছি। যসি সোর্স রিডাকশনে সফল হই তাহলে এটাকে থামাতে পারব। যদি কোনো কারণে কার্যকরভাবে এটা নিয়ন্ত্রণ করা না যায় তাহলে প্রতিবছর এটা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যায়। পিক টাইম সেপ্টেম্বরে। সুতরাং এখানে একটাই পদ্ধতি সেটা হচ্ছে সোর্স রিডাকশন। যত রকম ওষুধই ব্যবহার করি না কেন যদি সোর্স রিডাকশন না হয় এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব। যদি সোর্স রিডাকশনে আমরা সবাই মিলে কাজ না করি তাহলে ট্রেন্ড থামানো যাবে না।

সেদিক থেকে প্রত্যেক নাগরিককে সচেতন করার দায়িত্ব আমাদের সবার। সেটা না হলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়বে। পরে আস্তে আস্তে কমে আসবে। সাধারণত অগাস্ট-সেপ্টেম্বরে দেশে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দিলেও এ বছর জুনের শুরুতেই ডেঙ্গু জ¦রে আক্রান্তের খবর আসতে থাকে। জুলাইয়ে এসে তা ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ে। গত মঙ্গলবার পর্যন্ত নেত্রকোণা ছাড়া সবগুলো জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্তের তথ্য পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার পর্যন্ত ১৭ হাজার ১৮৩ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে সংবাদপত্রে আসা খবরে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা এ বছর অর্ধশত ছাড়িয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক সানিয়া তহমিনা, জাতীয় ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচীর ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার এম এম আক্তারুজ্জামান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আয়েশা আক্তার উপস্থিত ছিলেন। ডেঙ্গু পরীক্ষায় প্রয়োজনীয় রি-এজেন্টের সঙ্কট দেখা দেওয়ায় কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক সানিয়া তহমিনা বলেন, জরুরি ভিত্তিতে ৫০ হাজার এনএসওয়ান কিট আমদানি করা হচ্ছে। এগুলো যেহেতু দেশে তৈরি হয় না এজন্য এগুলো আনতে কিছুটা সময় লাগবে। তবে আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি এক সপ্তাহের বেশি সময় লাগবে না। এ ছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আরও এক লাখ কিট দেবে যেগুলো আমরা বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠিয়ে দেব। এগুলো বিনা পয়সায় দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে ডেঙ্গু পরীক্ষায় ব্যবহৃত আরডিডি কিট সব জেলায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান সানিয়া তহমিনা। এ ছাড়া জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ডেঙ্গু গাইডলাইনও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংসে প্রশিক্ষণ দিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৪০০ দল ঢাকা শহরের সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের দুই লাখ শিক্ষার্থীর কাছে যাবে। তারা ডেঙ্গুর উৎসস্থল নির্মূলে কিভাবে করা যায় সে বিষয়ে শিশুদের প্রশিক্ষণ দেবে, তারা যেন আবার বাসায় গিয়ে তা প্রয়োগ করতে পারে।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর