সিলেট প্রতিনিধিঃ
সিলেট জেলা শহরের পাশে প্রাকৃতিক খনিজ সম্পদ সমৃদ্ধ এলাকা জৈন্তাপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের হরিপুর, শিকারখাঁ গ্রাম,৭নং গ্যাস কূপের (উৎলার পার) মসজিদের পাশে মড়া মিয়ার বাড়ি, হরিপুর দোবাইর মসজিদ এর পাশে বাহারের বাড়ি সহ আশপাশের বেশ কয়েকটি বড় বড় পাহাড় কাটার মহোৎসবে মেতেছে পাহাড় খেকোরা। টিলা কাটা বন্ধে স্থানীয় প্রশাসন নাম মাত্র অভিযান পরিচালনা করেন। একটি টিলায় অভিযান পরিচালনা করেই শেষ হয়ে যায় কিন্তু এর আড়ালে রয়ে যায় ৫ থেকে ৬টি টিলা।যার কারণে কোন অবস্থায় বন্ধ হচ্ছেনা টিলা ও পরিবেশ ধ্বংসের কাজ। এমনকি এই উপজেলা জুড়ে টিলা কর্তন উৎসব চলছে নির্ভয়ে। দেখার যেনো কেউ নেই! ফলে টিলা কেটে পকেট ভারি করছে অসাধূ পাহাড় খেকোরা। ট্রাক ও ফেলুটার দিয়ে বিশাল কয়েকটি পাহাড় কেটে সাবাড় কছে উপজেলার ৫নং ফতেপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ ও বিএপির ৪-৫ নেতা।
গত ২জুলাই (মঙ্গলবার) দুপুর ১২টায় গোপন সংবাদে ভিত্তিত্বে উপজেলার ফতেপুর (হরিপুর) ইউপির শিকারখাঁ গ্রামের মরহুম শাহেদ আলীর বাড়ীতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন ভারপ্রাপ্ত জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিশ্বজিৎ কুমার পাল। এসময় সাথে ছিলেন বন ও পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেটের সহকারী পরিচালক সানোয়ার হোসেন। মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সময় চতুর আব্দুল মুতলিব ও চিকনাগুল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক ফখরুল ইসলাম কৌশলে পালিয়ে যায়। অপরদিকে আব্দুল মুতলিবের বোন পাহাড় কাটার কথা স্বীকার করেলে প্রাথমিক ভাবে মোবাইল কোর্ট এর নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট বিশ্বজিৎ কুমার পাল ৪০হাজার টাকা জরিমানা করে মিনারা বেগমকে সর্তক করে পাহাড় ও টিলা কর্তন না করার কড়া নির্দেশ জারী করেন। জরিমানা আর নির্দেশনা জারী করার পরও বন্ধ হচ্ছেনা পাহাড় টিলা কর্তন।এদিকে গত ২৬ জুলাই থেকে পুনরায় পাহাড় কেটে প্রতি ঘনফুট মাটি ৩টাকা দরে বিক্রয় শুরু করেন। ফলে উপজেলার সচেতন মহলে নানা প্রশ্ন দেখা দেয়। এদিকে একটি বিশ্বস্থ সূত্র জানায় তারা প্রশাসনের লোকদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে একটি সমন্বয় করে রাতের পরিবর্তে এখন দিন দুপুরে সিলেট গ্যাস ফিল্ড সংলগ্ন এলাকায় পাহাড় কর্তন করছে মুহিবুর রহমান (মেম), আলকাছ, বাবলু, বাহার, চিকনাগুল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক ফখরুল ইসলাম, সুনা মিয়ার ছেলে নূরুল হক সহ পাহাড় খেকু চক্র। যেন প্রশাসন ও আইন তাদের কাছে কিছু না। এছাড়া পাহাড় কর্তনকারী চক্রের সদস্যরা সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেড সংলগ্ন বিভিন্ন টিলা কেটে সাভাড় করছে। তাই দ্রুত পরিবেশ অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রশাসনকে সক্রিয় ভূমিকা পালন না করলে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখিন হওয়ার আশংঙ্কা রয়েছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, তারা মন্ত্রীর লোক দাবি করে দিবালোকে পাহাড় কেটে চললেও প্রশাসনের নীবর ভূমিকার কারণে হরিপুর, শিকার খাঁ, উৎলার পার, সহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় কাটা ক্রমেই সম্প্রসারিত হচ্ছে। এতে প্রতি বছর বেড়ে চলছে পাহাড় ধসে প্রাণহানি সহ ব্যাপক পরিবেশ বিপর্যয়ের ঘটনা। এছাড়াও প্রতিদিন ব্যাপকহারে পাহাড় কাটার ফলে উপজেলার পাহাড় গুলো প্রায় বিলীনের পথে রয়েছে। এব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিশ্বজিৎ কুমার পাল জানান, ফতেপুর ও চিকনাগুল এলাকায় অবৈধভাবে পাহাড় কাটার বিষয়টি বিভিন্ন সূত্রে জানতে পেরেছি খুব দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/৩১ জুলাই ২০১৯/ইকবাল