মাসউদ রানা,দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ
সীমান্ত এলাকায় জনসচেতনতা গড়ে না উঠলে সীমান্তে চোরাচালান ও অবৈধ্য অনুপ্রবেশ কোন ভাবেই বন্ধ হবে না। এ জন্য আপনাদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। তবেই সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান, অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং মানুষ হত্যা বন্ধ হবে। গত ২৯ জুলাই সোমবার বিকেল ৩ টায় দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার দেশমা দ্বিমূখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক জনসচেতনতা মূলক মতবিনিময় সভায় ফুলবাড়ী ২৯ বিজিবি লেঃ কর্ণেল মোঃ শরীফউল্লাহ্ আবেদ (এসজিপি) এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, সীমান্ত এলাকায় জনসচেতনতায় সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান, ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং সীমান্তে মানুষ হত্যা শূন্যের কোটায় এসেছে। চোরাকারবারীরা পূর্বের ন্যায় অনেকে ভালো পথে আসলে তাদেকে পূর্ণবাসন করা হবে। এখন সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান ও ভারতে অনুপ্রবেশ প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। যারা এখনও এই অবৈধ পেশা ছেড়ে ভালো পথে আসেননি তাদেরকে ভালো পথে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। কারন মাদক একটি পরিবার ও সমাজকে ধ্বংস করে। এ কারণে ওই পরিবারটি অতি নিকট থেকে নরককে দেখতে পায়। এই মাদক সমাজ থেকে নির্মূল হতে পারে তখনই যখন এই সমাজের মানুষ সচেতন হবে। সীমান্তের জিরো পয়েন্টে গিয়ে কাটা তারের বেড়া কেটে যারা অবৈধ পথে চোরা চালানীর মালামাল আনতে গিয়ে ভারতীয় বিএসএফ এর গুলিতে জীবন হারাচ্ছেন। এতে অনেক মায়ের কোল খালি হচ্ছে। অকাতরে জীবন দিতে হচ্ছে। সরকার তাদের পূর্ণবাসন করার জন্য সার্বিক সহযোগিতা করবেন; যারা এ পথ ছেড়ে দিয়ে ভালো পথে আসবেন। তাই আমরা বার বার সীমান্তে বসবাসকারী জনসাধারণকে অনুরোধ করছি, যারা এই অসৎ পথে ধাবিত হবে তারা যেন এই পথ ছেড়ে দেয়। অবৈধ ভাবে সীমান্তে কাটাতার কাটার কারনে ভারতের সীমান্ত রক্ষীরা আমাদেরকে নানা রকম অভিযোগ করে। এতে আমাদেরকে জবাব দিতে হয়। জনসচেতনা মূলক মতনিবিময় সভায় অন্যান্য দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিরামপুর উপজেলা দেশমা দ্বিমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শাহাদৎ হোসেন সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলাম দেশমা সরকারি প্রাথমিক প্রধান শিক্ষক বিপুল রায়। মতবিনিময় সভায় ঐ এলাকার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্র-ছাত্রীরা, মসজিদের ইমাম, মাদ্রাসার শিক্ষক, সীমান্তে বসবাস কারী স্থানীয় জনসাধারন এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। আয়োজনে ছিলেন ফুলবাড়ী ২৯ বিজিবি।
জাল নথি তৈরির মালায় দিনাজপুরে ২৭ ইটভাটার মালিক জেল হাজতে
মাসউদ রানা,দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ
ইটভাটা চালাতে কথিত জাল আদেশ দেখানো এবং জাল নথি তৈরির মামলায় ২৭ ইটভাটার মালিককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন দিনাজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত। আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার দিনাজপুর জেলা ও দায়রা জজ আজিজ আহম্মেদ ভূঞা এ আদেশ দেন। ইতিপূর্বে হাইকোর্টের নির্দেশে দিনাজপুরের পার্বতীপুর মডেল থানায় গত ২০ জুন উপপরিদর্শক (পুলিশ)মো. আ. হামিদ বাদী হয়ে দিনাজপুরে ২৯ টি, নীলফামারী ১টি এবং রংপুরের ১ টি ইটভাটার মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করে। এ নিয়ে গত ২১ জুন প্রথম আলোয় ৩১ ইটভাটার মালিকের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পার্বতীপুর থানা সূত্রে জানা গেছে, মামলার ৩০ আসামী সম্প্রতি হাইকোর্টে জামিন নিতে গেলে বিচারক আসামীদের নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পনের আদেশ দেন। উচ্চ আদালতে জামিন প্রার্থনা না করায় ভাটার মালিক চিরিরবন্দর উপজেলার সাইতাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোকাররম হোসেনকে গত ১৬ জুলাই গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে মোকারম হোসেনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। গত ২০ মে বিচারপতি মো. আশরাফুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ৩১ ইটভাটা চালাতে কথিত জাল আদেশ’ তৈরী এবং জাল নথি’ তৈরীর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করতে ৩ জেলার পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। বিষয়টি তত্ত্বাবধানের জন্য পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) নির্দেশ দেয়া হয়েছে। উক্ত মামলার আসামীরা হলেন দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার যমুনা ব্রিকসের সত্ত্বাধিকারী হাসান শাহরিয়ার, আরবি ব্রিকসের রবিউল আলম মুন্সী, এইচবি ব্রিকসের এজেডএম রেজওয়ানুল হকের এইচবি ব্রিকস, অর্নব ব্রিকসের নুর আলম এবং ইব্রাহীম আলী মন্ডল, বারী ব্রিকসের ফখরুল ইসলাম শাহ্, এ অর বি ব্রিকসের রেজওয়ানুল হক, আরটি ব্রিকসের মো. তাশরিফুল, এসএ ব্রিকসের আমানুল্লাহ্ প্রামানিক, জেএস ব্রিকসের শাহরিয়ার ইফতেখারুল আলম চৌধুরী, ফাইভ ষ্টার ব্রিকসের নজরুল ইসলাম, হক ট্রেডার্সের জিকরুল হক, মাইশা ব্রিকসের রেজাউল ইসলাম, এসপি ব্রিকসের পলাশ কুমার রায়, শফী ব্রিকসের মো. শফিকুল ইসলাম, আজাদ ব্রিকসের আবুল কালাম আজাদ, হামিদ এন্ড সন্স ব্রিকসের মো. মোকারম হোসেন। ফুলবাড়ী উপজেলার রহমান ব্রিকসের সত্ত্বাধিকারী এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ওরফে মিল্টন, নবী ব্রিকসের মাসুদুর রহমান চৌধুরী, এলএইচবি ব্রিকসের লোকমান হাকিম, এসবি ব্রিকসের মঞ্জুরী-ইশ-শাহাদৎ। বিরল উপজেলার এমবি ব্রিকসের মাসুদ রানা,এএম ব্রিকসের রবিউল হাসান। চিরিরবন্দর উপজেলার এনএইচ ব্রিকসের নাজমুল হুদা, আরএ ব্রিকস-১ এবং আরএ ব্রিকস-২ এর রফিকুল ইসলাম। দিনাজপুর সদরের পিআর ব্রিকসের পলিন চন্দ্র রায় এবং এআর ব্রিকসের মাহফুজুল হক আনার। কাহারোল উপজেলার এএস ব্রিকসের এসএম হায়দার। নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলার এনআরবি ব্রিকসের শফিকুর রহমান। রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার কাজী ব্রিকসের কুদরতি খুদা এবং আসাদুজ্জামান। তবে দিনাজপুর সদরের এ আর ব্রিকসের সত্ত্বাধিকারী মাহফুজুল হক আনার জানান, গত ৫ বছর আগে তিনি ভাটাটি বিরলের জনৈক মোস্তফার কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। এ সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজ অনেক আগেই জেলা প্রশাসনের কাছে দেয়াও আছে। দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার হয়বতপুর গ্রামের পাশে যমুনা ইটভাটার কারনে হযরতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শ্বাসকষ্টসহ চরম সমস্যা হচ্ছিলো। ভাটা বন্ধে স্থানীয়রা প্রশাসনের কাছে লিখিত আবেদন করলেও ভাটা বন্ধ হচ্ছিলনা। গত ফেব্রয়ারি মাসে ওই বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী মাইশা মনওয়ারা জেলা প্রশাসকের উদ্দেশ্যে একটি চিঠি লিখে। চিঠিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে বিষয়টি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এবং নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর নজরে আসে। ভাটা বন্ধে দুই মন্ত্রী জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেন। পার্বতীপুর উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ভাটাটি বন্ধ করতে গিয়ে দেখা যায় যে, যমুনা ইটভাটাটির লাইসেন্স নেই। উচ্চ আদালতের রিটের মাধ্যমে চলছে। মামলা সূত্রে আরো জানা যায়, হাইকোটের বিচারপতি মো. আশরাফুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে ইটভাটা শিশুর উদ্বেগের খবর তুলে ধরে এ নিয়ে পৃথক রিট চুড়ান্ত শুনানির উদ্যোগ নেয় রাষ্ট্রপক্ষ। রিটের পরিপ্রেক্ষিতে দিনাজপুর জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে পাওয়া একাধিক ‘কথিত’ আদেশ আদালতে নজরে আনে রাষ্ট্রপক্ষ। রিট দুটি হচ্ছে ২০১৭ সালের ২৫ আক্টোবর দায়ের করা ১৫০৯৩/২০১৭ অন্যটি ২০১৮ সালের ১৯ নভেম্বর দায়ের করা ১৪৬০৫/২০১৮ নং রিট। ২০১৭ সালে কথিত রিটে আবেদনকারী ২২ জন এবং ২০১৮ সালে কথিত রিটে আবেদনকারী ২৬ জন।এরপর আদালত সংশ্লিষ্ট শাখার সুপারকে ডেকে ‘রিট আবেদন’ ও রাষ্ট্রপক্ষের দেখানো আদেশের নথি’ সরবরাহ করতে মৌখিত নির্দেশ দেন। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছ থেকে ওই মামলা দুটির আদেশের নকলের ফটোকপি সংগ্রহ করে নথি সরবরাহ করতে মৌখিক নির্দেশ দেন। নকল দুটি যাচাই করে দেখা গেছে ওই নকলগুলো রিট শাখা থেকে সরবরাহ করা হয়নি এবং সংশ্লিষ্টদের সই জাল করা হয়েছে।
এ নিয়ে গত ২৩ এপ্রিল প্রথম আলোসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে দিনাজপুরে ইটভাটা চালাতে হাইকোটের জাল আদেশ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।এ ঘটনায় গত ৩০ এপ্রিল হাইকোর্ট এক আদেশে ৩১ ইটভাটার সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের আদালতে হাজির করা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ওই তিন জেলার পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেন। গত ২০ মে ৩১ ইটভাটার মালিককে আদালতে হাজির করা হয়েছিল। এ নিয়ে গত ২১ মে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে জড়িতদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করতে নির্দেশ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির দুর্নীতির দায়ে দুদুকের চার্জশিট দাখিল
মাসউদ রানা,দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ
দেশের উত্তরাঞ্চলের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ২৪৩ কোটি ২৮ লাখ টাকার কয়লা আত্মসাতে বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড এর সাবেক ৭ এমডিসহ মোট ২৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।দিনাজপুরের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে দুদকের উপপরিচালক মো. শামছুল আলম চার্জশিটটি দাখিল করেন, গত ২১ জুলাই,রবিবার যা পরবর্তীকালে আদালতে দাখিল করা হবে।এ বিষয়ে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, আসামিদের বিরুদ্ধে ২৪৩ কোটি ২৮ লাখ ৮২ হাজার ৫০১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়। তার মধ্যে তদন্তে এজাহারভুক্ত ১৯ আসামির মধ্যে ৫ জনের অভিযোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় তাদেরকে অভিযোগপত্রে রাখা হয়নি। আর ঘটনার সঙ্গে নতুন করে সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়ায় মামলায় আরও ৯ জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।অভিযোগপত্র অনুযায়ী, ২৩ আসামির মধ্যে ৭ সাবেক এমডি হলেন মো. মাহবুবুর রহমান, মো. আবদুল আজিজ খান, খুরশীদুল হাসান, কামরুজ্জামান, মো. আমিনুজ্জামান, এসএম নুরুল আওরঙ্গজেব ও হাবিব উদ্দিন আহাম্মদ। এছাড়া সাবেক মহাব্যবস্থাপক মো. শরিফুল আলম, সাবেক মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. আবুল কাসেম প্রধানীয়া, মহাব্যবস্থাপক(মাইন অপারেশন বিভাগ) আবু তাহের মো. নুর-উজ-জামান চৌধুরী, ব্যবস্থাপক (জেনারেল সার্ভিসেস) মাসুদুর রহমান হাওলাদার, ব্যবস্থাপক (মেইন্টেনেন্স অ্যান্ড অপারেশন) মো. আরিফুর রহমান, ব্যবস্থাপক (নিরাপত্তা শাখা) সৈয়দ ইমান হাসান, উপব্যবস্থাপক (কোল হ্যান্ডলিং ম্যানেজমেন্ট) মুহাম্মদ খলিলুর রহমান, উপব্যবস্থাপক (মেইন্টেনেন্স অ্যান্ড অপারেশন) মো. মোরশেদুজ্জামান, উপব্যবস্থাপক (প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্ট) মো. হাবিবুর রহমান, উপব্যবস্থাপক (মাইন ডেভেলপমেন্ট) মো. জাহেদুর রহমানকে আসামি করা হয়।অন্যদিকে সহকারী ব্যবস্থাপক (ভেন্টিলেশন ম্যানেজমেন্ট) সত্যেন্দ্র নাথ বর্মণ, মো. মনিরুজ্জামান, ব্যবস্থাপক (কোল হ্যান্ডেলিং ম্যানেজমেন্ট) মো. শোয়েবুর রহমান, উপমহাব্যবস্থাপক (স্টোর ডিপার্টমেন্ট) একেএম খালেদুল ইসলাম, ব্যবস্থাপক (প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্ট) অশোক কুমার হালদার ও উপমহাব্যবস্থাপক (মাইন প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) মো. জোবায়ের আলীকেও অভিযোগপত্রে আসামি করা হয়।তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, আসামিদের পরস্পর যোগসাজশে ২০০৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই পর্যন্ত এ আত্মসাতের ঘটনা ঘটে। অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পাওয়া ৫ আসামি হলেন, ব্যবস্থাপক (কোম্পানির প্ল্যানিং অ্যান্ড এক্সপ্লোরেশন বিভাগ) মো. মোশারফ হোসেন সরকার, ব্যবস্থাপক (ডিজাইন, কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড মেইন্টেনেন্স) জাহিদুল ইসলাম, উপব্যবস্থাপক (সেফটি ম্যানেজমেন্ট) মো. একরামুল হক, মহাব্যবস্থাপক (অর্থ ও হিসাব) গোপাল চন্দ্র সাহা ও সাবেক মহাব্যবস্থাপক (অর্থ ও হিসাব) মো. আবদুল মান্নান পাটওয়ারী।
১ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৪ টন কয়লা ঘাটতির অভিযোগে বিসিএমসিএলের মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মোহাম্মদ আনিসুর রহমান বাদী হয়ে ঐ সময় ১৯ জনকে আসামি করে ২০১৮ সালের ২৪ জুলাই দিনাজপুরের পার্বতীপুর থানায় মামলা করেন। মামলাটি নতিভুক্ত হওয়ায় অভিযোগ তদন্ত করেছেন দুদক। তদন্তে বেরিয়ে এসেছে ঐ কর্মকর্তা কর্মচারীদের নাম।বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কাগজে-কলমে বেশি কয়লার মজুত দেখিয়ে প্রায় ২০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ওই বছরের ২৩ জুলাই তিন সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেছিল দুদক। সেই আলোতে দুদক দূর্নীতির সঠিক তদন্ত করে ২৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। এতে আসামীদের বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ৪০৯/১০৯ এবং ১৯৪৭ সনের ২ নং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২)ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/৩১ জুলাই ২০১৯/ইকবাল