ঈদে ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রির দ্বিতীয় দিনে উপচেপড়া ভিড়
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
ঈদুল আজহা উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতো দেশব্যাপী ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রি করা হয়েছে। সকাল ৯টা থেকে রাজধানীর রেলস্টেশনগুলোতে এ টিকেট বিক্রি শুরু হয়। বিক্রি চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। গত সোমবার মধ্যরাত থেকে টিকেটপ্রত্যাশীরা লাইনে দাঁড়িয়ে টিকেটের জন্য অপেক্ষা করেন। গত সোমবার রাজধানীর কমলাপুর, বনানী, বিমানবন্দর, তেজগাঁও ও ফুলবাড়িয়া পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন থেকে এসব টিকেট বিক্রি শুরু হয়। কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে দেওয়া হচ্ছে রাজশাহী, খুলনা ও রংপুর বিভাগের টিকেট, বিমানবন্দর থেকে নোয়াখালী ও চট্টগ্রাম, তেজগাঁও থেকে ময়মনসিংহ ও জামালপুর, বনানী থেকে নেত্রকোনা এবং পুরাতন ফুলবাড়িয়া থেকে দেওয়া হচ্ছে সিলেট ও কিশোরগঞ্জের টিকেট। এদিকে টিকেটপ্রত্যাশীদের অভিযোগ, গভীর রাত থেকে অপেক্ষার পর টিকেটের দেখা মিলছে। এ ছাড়া অনেক ধীরগতিতে টিকেট বিক্রি চলছে বলেও অভিযোগ তাঁদের। কমলাপুর রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানায়, কমলাপুর থেকে ২৬ হাজার ৫০০টি টিকেট গতকাল মঙ্গলবার বিক্রি করা হচ্ছিল। এ ছাড়া ১১ হাজার টিকেট অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করা হচ্ছিল। সকাল ৬টা থেকে অনলাইনে টিকেট বিক্রি শুরু হয়। এদিকে, অনলাইনে টিকেট বিক্রি নিয়েও অনেকে অভিযোগ তুলেছেন। অনলাইনে টিকেট বিক্রির যে অ্যাপ রয়েছে, তার মাধ্যমে টিকেট কিনতে অনেকেই ভোগান্তিতে পড়ছেন বলে জানান। এদিকে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনেও টিকেটপ্রত্যাশীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। টিকেটপ্রত্যাশীদের অভিযোগ, ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা অপেক্ষার পর টিকেটের দেখা পাচ্ছেন তাঁরা। এ ছাড়া আগে সকাল ৮টা থেকে টিকেট বিক্রি করা হতো। আর এখন বিক্রি করা হচ্ছে সকাল ৯টা থেকে। এজন্য টিকেটপ্রত্যাশীরা আরো ভোগান্তিতে পড়ছেন বলে জানান। তা ছাড়া একটি টিকেট কিনতে পাঁচ থেকে সাত মিনিট ধরে অপেক্ষা করতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাঁদের। এদিকে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, টিকেট দেওয়ার আগে জাতীয় পরিচয়পত্র আছে কি না, তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। এজন্য সময় বেশি লাগছে। এ ছাড়া কালোবাজারি প্রতিরোধের জন্য কিছু সিকিউরিটি সিস্টেমের ব্যবস্থা রয়েছে। আর সেই সিকিউরিটি সিস্টেমের চেক করতেও সময় লাগছে বলে জানানো হয়। এদিকে চাঁদপুরগামী যে দুটি বিশেষ ট্রেন রয়েছে, সেই ট্রেনগুলোর টিকেট বিক্রিও শুরু হয়েছে আজ থেকে। এ ছাড়া ৮ আগস্টের টিকেটের চাহিদা বেশি থাকায় গত সোমবারের থেকে গতকাল মঙ্গলবার টিকেটপ্রত্যাশীদের ভিড় বেশি দেখা গেছে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আশ্বস্ত করেছে, কালোবাজারি প্রতিরোধের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। আর এজন্য স্টেশনে ১০টি কাউন্টার রয়েছে, সেই ১০টি কাউন্টারে একাধিক টিম কাজ করছে। এ ছাড়া সেখানে ৫২টি সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। এর মাধ্যমে তাঁরা পুরো পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন বলেও জানান।