শাহ্ মোহাম্মদ রায়হান বারী,রংপুর ব্যুরো:
২০ জুলাই ২০১৯ সাইফুল ইসলাম শান্তি, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, দিনাজপুর-এর শিক্ষার্থী প্রকাশ্যে রিফাত হত্যা, প্রশ্নপত্র ফাঁস ও গুজবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের অংশ হিসেবে প্লেকার্ড নিয়ে পায়ে হেঁটে তেঁতুলিয়া থেকে টেকনাফের দিকে যাত্রা শুরু করেছেন। ২৮ জুলাই ২০১৯ বেলা আনুমানিক দেড়টার দিকে তিনি রংপুর প্রেসক্লাবে এসে তার এই প্রতিবাদের কথা তুলে ধরেন।
তার সাথে আলাপচারিতার এক পর্যায়ে জানতে পারলাম এই অভিনব প্রতিবাদের কারণ। তার বক্তব্যে বেরিয়ে এসেছে দেশের বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে যেভাবে এ দেশের মানুষ অসৎ পথে, অমানবিক হয়ে যে সমস্ত অসামাজিক কাজ করছে তা একটি দেশের জন্য অশনি সংকেত। তিনি বলেন, নির্বিচারে হত্যা, প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা, পাবলিক পরীক্ষা থেকে শুরু করে যাবতীয় পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস, ঘুষ বাণিজ্য, বিভিন্ন প্রকার গুজব সৃষ্টি করে নির্বিচারে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা এ কাজগুলো একসূত্রে গাঁথা বলে তিনি মনে করেন। তিনি আশংকা করে বলেন, বর্তমানে আস্তে আস্তে দেশ চরম বিপর্যয়ের দিকে ধাবিত হচ্ছে। এর লাগাম এখনই টেনে না ধরলে খুব তাড়াতাড়ি আমাদের মাতৃভূমি বাংলাদেশ হয়তো চরম বিপদের মুখে নিমজ্জিত হবে। তিনি বলেন বর্তমানে যে সমস্ত কর্মকান্ড সংঘটিত হচ্ছে তা কঠোরভাবে আইনগত শাস্তি বিধান না হওয়ার কারণে গুম, হত্যা, ধর্ষণ, ঘুষসহ নানাবিধ অসামাজিক কর্মকান্ড বৃদ্ধি পাচ্ছে। তার মূল বক্তব্য হলো মেধা শূন্য করার জন্য প্রশ্ন ফাঁস, এটা যারা করেন তার এ দেশের শত্র“। এদেরকে চিিহ্নত করে সত্ত্বর আইনের আওতায় আনতে হবে। যারা গুম, খুন, ধর্ষণসহ বিভিন্ন প্রকার অসামাজিক কর্মকান্ড সম্পাদন করেন তারা নিশ্চয়ই কারো না কারো অশ্রয়-প্রশ্রয়ে সংগঠিত করেন। তাদের বিরুদ্ধে কেউ দাঁড়ালে দেখা যায় তারই অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যায়, তাই নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে বিচারের মুখোমুখি তাদের দাঁড় করাতে হবে, এটা কোন ব্যক্তির কাজ নয়, এটা রাষ্ট্রের কাজ। যে হারে প্রশাসনিক কর্মকর্তাগণ ঘুষ বাণিজ্যের সাথে সম্পৃক্ত তা সারা বিশ্ব অবলোকন করেছে। তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রেরই কঠিন ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। আজকে পদ্মা সেতুতে মাথা লাগবে, এই বিভ্রান্তি যারা ছড়াচ্ছে তারা এ দেশের চরম শত্র“। তাদেরকে দ্রুততার সাথে চিিহ্নত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।তার এই অভিনব প্রতিবাদের কারণ হিসেবে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, সারাদেশে কোন কিছুর বিরুদ্ধে যখন প্রতিবাদের ঝড় উঠে, তখন মনে হয় হয়তো এই ঝড়ে সবকিছু লন্ডভন্ড হয়ে যাবে কিন্তু দু’একদিনের মধ্যে তা আবার তলিয়ে যায়। তাই আমি মনে করি আমার এই প্রতিবাদ মানুষের মনে সচেতনতা সৃষ্টি করবে এবং মানুষ সচেতন হয়েই সমাজের যাবতীয় অন্যায়, অনাচার, গুজব ও অসামাজিক কর্মকান্ডকে প্রতিহত করতে সক্ষমতা অর্জন করবে।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/৩০ জুলাই ২০১৯/ইকবাল