এখনওবাংলাদেশের কৃষিমুল অর্থনীতিতেভালোঅবদানরাখছে। আগামী মৌসুমে
কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি সরকার ধান সংগ্রহ করবে। কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় করা হলে টাকা সরাসরি কৃষকের হাতে যাবে। কৃষকরা রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে ফসল ফলাবে,তারা ন্যায্য মুল্য পাবে না এটা হতে পাড়ে না। কৃষকদের লাভবান করতে প্রয়োজনে সারের দাম আরও কমানো হবে কৃষি যন্ত্রে প্রণোদনা বৃদ্ধি করা হবে। চাল রপ্তানি করে বিশ্ব বাজারে অবস্থান তৈরী করতে হবে। প্রতি যোগি তা মুলক বিশ্ব বাজারে টিকে থাকার মান সম্মত চাল আমাদের দেশে উৎপন্ন হয়। যদিও এই মুহুর্তে বিশ্ব বাজারে চালের মুল্য কম তার পর ও আমাদের রপ্তানিতে যেতে হবে।চাল রপ্তানির ক্ষেত্রে ২০শতাংশ প্রণোদনা দেয়া হবে। প্রয়োজনে কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি কিনে কম মুল্যে দরিদ্র মানুষদের দেয় হবে।কিভাবে কৃষকদের কাছ হতে ধান সংগ্রহ করা যায় এ ব্যাপারে সবার পরামর্শ চান কৃষিমন্ত্রী ড.মো: আব্দুর রাজ্জাক এম.পি।আজ ৩০জুলাই মঙ্গলবার ২০১৯ ইং তারিখ কৃষিমন্ত্রী ড.মো: আব্দুর রাজ্জাক এম.পি এর সভাপতিত্বে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) এর সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত কৃষক পর্যায়ে ধান-চালের ন্যায্য মুল্য নিশ্চিত করণের নিমিত্তে সরকার গৃহীত পদক্ষেপের অংশ হিসেবে কৃষকদের নিকট হতে সরাসরি ধানসংগ্রহ/প্রক্রিয়াকরণ,মিলারদের মাধ্যমে ক্রাশিং ও সংরক্ষণ এবং চাল রপ্তানি বিষয়ক আন্ত:মন্ত্রণালয় সভায় এসব কথা বলেন।ড. রাজ্জাক বলেন; আগামী মৌসুমে যাতে করে ধানের মুল্যের ক্ষেত্রে বিরুপ ঘটনার উদ্ভব না হয় সে ব্যাপারে সরকার প্রস্তুত রয়েছে। কৃষিকে লাভজনক করতে হলে এর উৎপাদন খরচ কমাতে হবে। উৎপাদন খরচ কমানোর জন্য শুধু ধান কাটার যন্ত্রইনয়,ধান বপন করা এবং মারাই করা যন্ত্রও কৃষদের দেয়া হবে। ধান সংগ্রহের ক্ষেত্রে তিনটি শ্রেণীতে বিভক্ত করা হবে প্রান্তিক চাষি,মাঝারি চাষি ও বড়চাষি। এ ছাড়া প্রত্যেক উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার কাছে আর্দ্রতামাপার যন্ত্র থাকবে,সে কৃষকদের বাড়িতে গিয়ে ধানের আর্দ্রতা পরিমাপ করবে।সরকার ধান সংগ্রহ করে মিলমালিকদের মাধ্যমে ক্রাশ করে চাল করবে। মিলমালিকদের সরকার লাভ ও দিবে এ প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে মিলাররা জানান যে তারা সমস্ত দায়িত্ব নিতে চান। এছাড়া তারা কিছু প্রস্তবনা দেন যেমন রপ্তানি বাজার উন্মুক্ত করা এবং চাল রপ্তানির ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ প্রণোদনা দেয়া। কৃষকদের বিনা সুদে বা স্বল্প সুদে ঋণ দেয়া হলে এনজিওর ঋণ পরিশোধের জন্য তারা হুরা করে ধান বিক্রি করতে হবে না। ধান সংগ্রহ বৃদ্ধি করে ২০লাখ মে:টনকরা তারা আর ও জানান বিশ্ব বাজারে মোটা চালের চাহিদা রয়েছে। সভায় জানানো হয় বিগত ১০ বছরে ফসলের উৎপাদন বছরে ৬লাখ মে:টনকরে বেড়েছে।খাদ্য মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ২০১৭ সালে হাওরাঞ্চলের আতি বৃর্ষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ফসলের যে ক্ষতি হয় সে সময় ৪০লাখ মে:টন চাল আমদানি করা হয়,সে চাল এখনও রয়ে গেছে যার প্রভাব পরেছে এবারের বোরো মৌসুমে। এছারা তিনি আউশ আবাদে প্রণোদনা বাদ দেয়ার কথা বলেন। কৃষকদের বাচাঁতে স্থায়ী সমাধানের পথে যাচ্ছেন। সারা দেশে ১৬২ টিখাদ্য গুদাম তৈরীকরা হবে,যার মোট ধারনক্ষমতা ৭-৮লাখ মে:টন। তিনি আরও বলেন জমিতে সেচেরজন্য বিদ্যুতে সরকার যে প্রণোদনা দেন কৃষকরা তা পায়না। কৃষিতে লাখসই প্রযুক্তি নিতে হবে জানান খাদ্য মন্ত্রী।উল্লেখ্য, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে ৪১হাজার মে:টনচাল রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে। গত মৌসুমে আমাদের খাদ্য শস্য উৎপন্ন হয়েছিল ৪ কোটি ১৩ লাখ মে: টন, এর মধ্যে শুধু ধানউৎপন্ন হয়েছিল ৩ কোটি ৭৮লাখ মে:টন।কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: নাসিরুজ্জামানের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো: মফিজুলইসলাম,খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিবসহ,খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষি,খাদ্য,বাণিজ্য ও অর্থ মন্ত্রণালয়েল কর্মকর্তাবৃন্দ এবং চাল কল মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ ব্যবসায়ীসহ এফবিসিসিআই এর প্রতিনিধি। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন জন সংযোগ কর্মকর্তা।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/৩০ জুলাই ২০১৯/ইকবাল