-
- সারাদেশে, স্বাস্থ্য
- মানিকগঞ্জে ছড়িয়ে পড়েছে ডেঙ্গুর প্রকোপ , সদর হাসপাতালে ভর্তি ১৪ রোগী
- আপডেট সময় July, 28, 2019, 3:09 pm
- 212 বার পড়া হয়েছে
খলিলুর রাহমান মানিকগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ

মানিকগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে ডেঙ্গু রোগ।প্রতিদিনই আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।গত এক সপ্তাহে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন নারী-শিশুসহ ১৪ ডেঙ্গু রোগী। জেলায় প্রথম বারের মাতো হঠাৎ করেই ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্ক ছড়িযে পড়েছে জনমনে।পরীক্ষা নিরীক্ষার পর্যাপ্ত সুবিধাদি না থাকায় বিপাকে পড়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।তবে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে যারা চিকিৎসা নিচ্ছেন তারা হলেন-পৌরসভারধীন পশ্চিম সেওতা এলাকার জাকির হোসেনের স্কুল পড়ুয়া মেয়ে জেবা আক্তার (১৫), সদর উপজেলার পাছ বাড়ইল গ্রামের সিরাজুল ইসলামের মেয়ে সাদিয়া আফরিন, সাটুরিয়া উপজেলার গোলড়া গ্রামের মামুন মিয়ার স্ত্রী রাশেদা বেগম (২৮), সদর উপজেলার বংখুরি গ্রামের সাইদুর রহমানের স্ত্রী মারিন আহমেদ(১৮),সদর উপজেলার জুকুরিয়া গ্রামের সিরাজ বেপারির ছেলে সজিব(২০), সাটুরিয়া উপজেলা রাধানগর গ্রামের বিনয় চক্রবর্তীর ছেলে টুটুল চক্রবর্তী, ঘিওর উপজেলার মহিউদ্দিন (১৮), সদর উপজেলার আকমিন(২০), দৌলতপুর উপজেলার সাইফুল ইসলাম(২০), সাটুরিয়া উপজেলার আল-আমিন(১৫) ও সদর উপজেলার মুন্না (২০)।হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক(ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ আব্দুল আওয়াল বলেন, মানিকগঞ্জে গত বছরও ডেঙ্গু রোগীর উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। এ কারণে ডেঙ্গু রোগের এনএসওয়ান রক্ত পরীক্ষার কিট ও রিএজেন্টের প্রয়োজন পড়েনি। হঠাৎ করেই ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় তারা টেনশনে পরেছেন। চলতি অর্থবছরের বাজেট শেষ হওয়ায় ইচ্ছে করলেই এখন ওই সব এনএসওয়ান রক্ত পরীক্ষার কিট ও রিএজেন্টের কেনা যাচ্ছে না। তবে তারা বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানিয়েছেন।জনস্বার্থে কিট ও রিএজেন্ট ক্রয় করতে জেলা পরিষদ এবং মানিকগঞ্জ পৌর কর্তৃপক্ষের সহায়তা চাওয়া হয়েছে। হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার(আরএমও) ডাঃ লুৎফর রহমান জানান, গত কয়েকদিন ধরে হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী আসতে শুরু করেছে।তবে গত দুই দিনে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।এ পর্যন্ত হাসপাতালে ১৪ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন।তিনি বলেন, ডেঙ্গু নিশ্চিত হওয়ার ক্ষেত্রে রক্তের তিনটি পরীক্ষার প্রয়োজন হয়। এর মধ্যে সিবিসি ও প্লাটিলেট পরীক্ষার ব্যবস্থা হাসপাতালে আছে। কিন্তু কিট এবং রিএজেন্ট সরবরাহ না থাকার কারণে এনএসওয়ান পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। রোগীরা বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে গিয়ে এই পরীক্ষাটি করাচ্ছেন।মানিকগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. আনোয়ারুল আমিন আখন্দ বলেন, জেলা হাসপাতাল ছাড়া কোনো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই ডেঙ্গু রোগীর উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। সীমিত সাধ্যের মধ্যে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তবে, সরকারি হাসপাতালে কিট এবং রিএজেন্ট সরবরাহ না থাকার কারণে এনএসওয়ান পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে ন। কিট ও রিএজেন্ট সরবরাহ না থাকার কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে টেন্ডার আহ্বানের মাধ্যমে কিট ও রিএজেন্ট ক্রয় করা হবে বলে জানান তিনি নিশ্চিত করেছেন।মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক এস.এম ফেরদৌস জানান,ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা ব্যহৃত হওয়ার বিষয়টি তিনি অবহিত হওয়ার পর শনিবার সকালে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে (সার্বিক) হাসপাতাল পরিদর্শনে পাঠান।নিয়মিত বরাদ্ধ না আসা পযন্ত জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ডেঙ্গু পরীক্ষার সকল ব্যবস্থা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হবে।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/২৮ জুলাই ২০১৯/ইকবাল
এ জাতীয় আরো খবর