-
- সারাদেশে
- কুড়িগ্রামে অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে পানি ডুবছে ঘর-বাড়ি-রাস্তাঘাট
- আপডেট সময় July, 26, 2019, 4:25 am
- 212 বার পড়া হয়েছে
মোঃ রেজাউল হক,রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ

উজানের ঢল আর ভারী বর্ষণে কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি অস্বাভাবিকভাবে বাড়া অব্যাহত রয়েছে। বন্যার পানি ঘর-বাড়ি থেকে নামতে না নামতেই আবারও পানি বাড়া আতঙ্কিত করে তুলেছে সাড়ে ৯ লাখ বানভাসী মানুষকে। নতুন করে ডুবে গেছে ঘর-বাড়ি ও রাস্তাঘাট।গত ২৫ জুলাই বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে বিপদসীমার ৭৩ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। গত ১২ ঘণ্টায় ধরলায় ২৩ ও ব্রহ্মপুত্রে ১০ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে।চিলমারী, রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলা শহরে আবারও পানি ঢুকতে শুরু করায় দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। এ পরিস্থিতিতে বাঁধ, রেললাইন ও উঁচু সড়কসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গবাদিপশুসহ আশ্রয় নেওয়া বন্যার্তদের ঘরে ফেরা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি দুই সপ্তাহ ধরে চলমান বন্যায় দুর্ভোগে পড়েছেন জেলার ৯টি উপজেলার ৯ লাখ ৫৮ হাজার ৩২৮ জন পানিবন্দি মানুষ।কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোলরুম সূত্রে জানা যায়, টানা দু’সপ্তাহের বন্যায় জেলার ৯টি উপজেলার ৯ লাখ ৫৮ হাজার ৩২৮ জন পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। জেলার ৯টি উপজেলা ও ৩টি পৌরসভায় চলতি বন্যায় ২ লাখ ৪০ হাজার ৫২৫টি ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরমধ্যে সম্পূর্ণভাবে ক্ষতি হয়েছে ১ হাজার ৮৫৩টি এবং আংশিক ক্ষতি হয়েছে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৭২টি ঘর-বাড়ি। নলকূপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৯ হাজার ৭৩৪টি। প্রায় ২ লক্ষাধিক গবাদিপশু পানিবন্দি হয়ে খাদ্য সংকটে পড়েছে। বন্যার কারণে ১ হাজার ২৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৩৩৩ কিলোমিটার সড়ক।কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসনের ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখার তথ্য অনুযায়ী, জেলার বন্যাকবলিত ৯টি উপজেলার ৯ লাখ ৫৮ হাজার ৩২৮ জন মানুষের জন্য সরকারিভাবে ১ হাজার মেট্রিক টন চাল, ৭ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ও ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম জানান, ফুলবাড়ীর বাংলাবাজার এলাকায় বাঁধের ওপর পাকা রাস্তা এবং উলিপুর উপজেলার নাগরাকুড়া টি-বাঁধ রক্ষায় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে। বৃষ্টির কারণে ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কিছুটা বাড়বে। শুক্রবার (২৬ জুলাই) থেকে তা আবারও কমতে শুরু করবে। তবে নতুন করে বন্যার আশঙ্কা নেই।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/২৬জুলাই ২০১৯/ইকবাল
এ জাতীয় আরো খবর