আরিফুল ইসলাম,চিলমারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ
ত্রাণ নিভর দুর্যোগ মোবাবেলা আমরা চাইনা, আমরা দুর্যোগ সহনীয় রাষ্ট্র তৈরি করতে চাই। প্রত্যেকটা নদীকে বাঁধ দিয়ে বন্যা মোকাবেলা করা হবে। কুড়িগ্রামের চিলমারীতে বৃহষ্পতিবার বিকেলে ত্রাণ বিতরণে এসে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মো. এনামুর রহমান এমপি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ইতোমধ্যে ১৬ হাজার কিলোমিটার নদীর ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে। কুড়িগ্রামের জন্য আনন্দের বিষয় হলো গত ২১ তারিখে আমরা জাপানের সাথে আলোচনা করেছি। সেখানে জাপান বাংলাদেশের ৩টি জেলা সুনামগঞ্জ, কুড়িগ্রাম ও কক্সবাজারকে নিয়ে পাইলট প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এই ৩টি জেলার যতো নদী আছে, সব নদীকে বাঁধের আওতায় আনা হবে। বাঁধের সাথে প্রয়োজনীয় স্লুইচ গেট থাকবে। আমি গত-২১ তারিখ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছি, শীঘ্রই কাজ শুরু হবে। এটা হলে কুড়িগ্রামবাসী আর বন্যার কবলে পড়বে না।
তিনি আরো বলেন, দুযোর্গকালীন সময়ে এখানকার মানুষরা যাতে নিরাপদ থাকতে পারে সেজন্য আমরা কুড়িগ্রাম জেলায় প্রয়োজন অনুযায়ী মুজিব কেল্লা ও আশ্রায়ন কেন্দ্র নির্মাণ করে দিবো।পরে প্রতিমন্ত্রী উপজেলার এলএসডি গোডাউন চত্ত্বরে ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে বন্যায় মৃত ৬জনের অভিভাবক প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা ও হাইজিন কিট, ১০ জনের মাঝে শিশু খাবার, ১০ জনের মাঝে গো-খাদ্যসহ ৩টি ইউনিয়নের মোট ৮৬০ জন বানভাসি মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন। এ সময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এমপি, কুমিল্লা-১ আসনের সাংসদ সেলিনা আহম্মেদ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. শাহ কামাল, কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভীন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন, চিলমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত আলী সরকার বীরবিক্রম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ মো. শামসুজ্জোহা, কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাব সভাপতি আহসান হাবিব নিলু প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/২৬জুলাই ২০১৯/ইকবাল