২০২২ সালে চালু হবে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
স্বপ্নের পদ্মাসেতু ও মেট্রোরেলের মতো ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েও দৃশ্যমান বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, এ প্রকল্পও খুব কঠিন ছিলো। এখন অর্থায়ন নিশ্চিত হওয়ায় কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর কাওলায় ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মে মাসের কাজের প্রতিবেদন ও সর্বশেষ তথ্য সম্পর্কে ব্রিফিং শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে রাজধানীবাসীর স্বপ্নের প্রকল্প। তিন ধাপে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০২২ সালের মার্চ মাসে। প্রথম ধাপের কাজ বিমানবন্দর থেকে বনানী রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত কাজ শেষ হবে ২০২০ সালের জানুয়ারির মধ্যে। দ্বিতীয় ধাপের কাজ বনানী রেলওয়ে স্টেশন থেকে মগবাজার রেল ক্রসিং পর্যন্ত ২০২০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে। তৃতীয় ধাপের কাজ মগবাজার রেল ক্রসিং থেকে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত শেষ হবে ২০২২ সালের মার্চ মাসের মধ্যে। এ ছাড়া ২০৩০ সালের মধ্যে ঢাকা শহরের সবকটি এমআরটির (পাতাল রেল) কাজ শেষ হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, যেসব নেতাকর্মী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কাজ করছে, তারা বিভিন্নভাবে শাস্তি ভোগ করছে। শুধু বহিষ্কার করাই শাস্তি নয়, বহুভাবে সেই শাস্তি দেওয়া যায়। তিনি বলেন, দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করলে তিনি এমপি-মন্ত্রী হলেও আগামীতে আর মনোনয়ন পাবেন না। মাদারীপুরে উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে গিয়ে সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান নিজের ভাইয়ের পক্ষে কাজ করবেন, তার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, পরবর্তী ওয়ার্কিং মিটিংয়ে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কুড়িল, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, কমলাপুর, সায়দাবাদ, যাত্রাবাড়ী হয়ে চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত ১৯.৭৩ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের ভিত্তিতে নির্মাণ করছে সরকার। এটির অর্থায়ন করেছে চায়না এক্সিম ব্যাংক। বাস্তবায়ন করছে ইতালি-থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেড।