আনু আনোয়ার,পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ
সমুদ্রের প্রেমে বাইসাইকেল চালিয়ে দুই শিক্ষার্থী সাইক্লিস্ট সূর্যোদয় সূর্যাস্তের বেলাভূমে
কুয়াকাটায় এসেছে। ঢাকা তেজগাঁও কলেজের বি.বি.এস’র দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মো. ইয়াছিন আরাফাত ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র নাহিয়ান সৌমিক এরা দু’জনে ঢাকা থেকে কুয়াকাটা আসেন। লাল সবুজের পতাকা নিয়ে বাইসাইকেলে আসার পথে অনেকেই তাকিয়ে দেখছিলেন তাদের দেশপ্রেম। শুক্রবার দুপুরে দুই সাইক্লিষ্ট কুয়াকাটায় আসে। রবিবার সকালে কুয়াকাটা ত্যাগ করেন। এই দুই দিনে তারা ঘুরে দেখেন কুয়াকাটার দর্শনীয় স্থান। সাংবাদিকদের সাথে আলাপ চারিতায় ওই দুই সাইক্লিষ্ট জানান, সাইকেল চালালে মন ও স্বাস্থ্য ভাল থাকে। পাশাপাশি সময় এবং অর্থ বাঁচিয়ে দেশ ভ্রমনে সহায়ক ভূমিকা রাখে।সাইক্লিষ্ট আরাফাত ও নাহিদ জানান,গত ১৪ জুন (বৃহস্পতিবার) ঢাকার মিরপুর এলাকা থেকে বাইসাইকেল যোগে সদর ঘাট আসেন। সেখান থেকে লঞ্চ যোগে বরগুনার আমতলী আসেন। সেখান থেকে ৪৬ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে বাইসাকেল চালিয়ে শুক্রবার দুপুরে তারা কুয়াকাটা সৈকতে পৌছায়। তারা দু’জনে সাইক্লিস্টের সদস্য বলে জানান।তেজগাঁও কলেজের বি.বি.এস’র দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মো.ইয়াছিন আরাফাত বলেন, ভ্রমণের নেশাই আলাদা। ভ্রমণ করতে সবারই ভালো লাগে। বাইসাইকেল চালানো শারীরিক ও মানসিক উভয়ই ভাল থাকে। এছাড়া স্বাস্থের জন্য অত্যন্ত উপকারি। এই প্রথমবার আমারা কুয়াকাটা এসেছি। এখানকার নাম অনেকবার শুনেছি। একই স্থানে দাড়িয়ে সুর্যোদয় আর সূর্যাস্তের মতো দৃশ্য একসাথে উপভোগ করেছি। কুয়াকাটা ভ্রমনের মজাটাই আলাদা।অপর সাইকেলিস্ট জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র নাহিয়ান সৌমিক বলেন, মানুষ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ভ্রমণ করে থাকে। তবে সেই ভ্রমণ হওয়া উচিত নিজের দেশকে জানা এবং দেখার জন্য। দেশের বিভিন্ন স্থান ঘুরে প্রকৃতির সাথে মেশা একটি অন্য রকম অনুভূতি। কখনো মেঘ, কখনো বৃষ্টি আবার কখনো প্রখর রোদে কুয়াকাটার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখেছি। এখানকার সবকিছুই ভাল বলে এই সাইকেলিস্ট জানান।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/১৮ জুন ২০১৯/ইকবাল