January 21, 2025, 7:11 am

সংবাদ শিরোনাম

বরিশালে গণধর্ষণের পর হত্যা: লাশ মেলেনি সাদিয়ার, ২ বখাটের স্বীকারোক্তি

বরিশালে গণধর্ষণের পর হত্যা: লাশ মেলেনি সাদিয়ার, ২ বখাটের স্বীকারোক্তি

ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক

মোবাইল ফোনে পরিচয়ের সূত্রধরে প্রেমের সম্পর্কের পর বিয়ের প্রলোভনে প্রেমিকাকে ঘরছাড়া করে বন্ধুদের নিয়ে গণধর্ষণের পর শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয় নগরীর বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ইন্সটিটিউট অব হেলথ এ- টেকনোলজীর শিক্ষার্থী সাদিয়া আক্তারকে (২১)।

পরবর্তীতে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেয়া হয়েছে বলে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে গ্রেফতারকৃত দুই বখাটে। তবে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত সাদিয়ার লাশের সন্ধান মেলেনি।

কোতোয়ালী মডেল থানার এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ আবদুল ওহাব জানান, চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত প্রধান আসামি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার বড়মাছুয়া গ্রামের ইব্রাহিম মিয়ার পুত্র সিরাজুল ইসলাম সিরাজ (২৪) ও তার সহযোগী একই গ্রামের দেলোয়ার আকনের কিশোর পুত্র হাফিজ আকনকে (১৫) গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা গণধর্ষণের পর সাদিয়াকে হত্যা করে লাশ নদীর পানিতে ভাসিয়ে দেয়ার কথা স্বীকার করেছে।

ঘটনার সাথে জড়িত অপর আসামি বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার রাজাপুর গ্রামের রব হাওলাদারের পুত্র নাজমুল ইসলাম নয়নকে (২৫) গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান চলছে।

গ্রেফতারকৃত আসামিদের বরাত দিয়ে এসআই আবদুল ওহাব আরও জানান, নগরীর ডেফুলিয়া এলাকার বাসিন্দা আলমগীর খানের কন্যা সাদিয়ার সাথে সিরাজের মোবাইল ফোনে পরিচয়ের সূত্রধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরবর্তীতে বিয়ের প্রলোভনে গত ২২ নভেম্বরর তার আরেক সহযোগী নাজমুল ইসলাম নয়নের সহায়তায় সাদিয়াকে মঠবাড়িয়ায় নেয়া হয়। এরপর রাত সাড়ে নয়টার দিকে বড়মাছুয়া এলাকার বলেশ^র নদীর পাড়ে নিয়ে সাদিয়াকে তারা তিনজনই গণধর্ষণ করে। এ সময় সাদিয়া চিৎকার শুরু করলে তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে লাশ বলেশ^র নদীতে ভাসিয়ে দেয়া হয়। সূত্রমতে, গত ২২ নভেম্বর বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় সাদিয়া। এরপর ওইদিনই কোতোয়ালী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন সাদিয়ার পিতা আলমগীর খান।

পরবর্তীতে সাদিয়ার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে মঠবাড়িয়া থানা পুলিশের সহায়তায় প্রধান অভিযুক্ত সিরাজকে গ্রেফতারের পর তার ঘর থেকে সাদিয়ার ব্যবহৃত কানের দুল (বলরিং) উদ্ধার করা হয়। এরপর সিরাজের স্বীকারোক্তি মতে গত সোমবার দুপুরে অপর আসামি হাফিজকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত সিরাজ ও হাফিজকে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর