জগন্নাথপুরে বোরো ধান চাষের আগেই পানি সংকট!! দুশ্চিন্তায় কৃষক
জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
জগন্নাথপুর পৌরসভার মোলাডুপি হাওরের ছবি
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে বোরো ধান চাষের আগেই পানি সংকট দেখা দেয়ায় প্রায় দেড় সহ¯্রাধিক কৃষক চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন । ইতিমধ্যে অনেকেই বীজ তলা তৈরীর কাজ সম্পন করেছেন আবার অনেকেই বীজতলা তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন বলে স্থানীয় কৃষকরা জানান। তবে এরই মধ্যে পানির তীব্র সংকট দেখা দেয়ায় শুরুতেই বোরো ধান চাষে হোচট খাওয়ার সম্ভাবনায় দুশ্চিন্তার প্রহর গুনছেন দুই ইউনিয়নসহ পৌরসভার পাঁচটি গ্রামের কৃষকরা।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, জগন্নাথপুর পৌরসভার ইলছি ও মোলাডুপি হাওরে বোরো ধান চাষে সেচের জন্য শহরের ইসহাকপুর এলাকার মাগুরা খালে বোরো ধান চাষে সেচের জন্য পানি আটকে রাখতে গত ১ মাস পূর্বে ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে একটি বাধ নির্মান করা হয়। কিন্তু নির্মানের এক মাসের মাথায় বাঁধ ভেঙ্গে সেচের পানি নি¤œাঞ্চলে নেমে খাল শুকিয়ে যায় । ফলে বোরো ধানের চারা রোপনের আগেই পানি সংকট দেখা দেয় ।যার কারণে চরম হতাশা ও অজানা আতংকে দিন গুনছেন ওই এলাকার প্রায় দেড়-দুই সহ¯্রাধিক কৃষকরা। কৃষকদের অনেকেই জানান, মাস-দেড়েক আগে বাঁধটি নির্মাণ হলেও দুর্বল কাজের জন্য তিনবার সংস্কার করা হয়েছিল নির্মানাধীন ওই বাঁধটি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আপ্রাণ চেষ্টা করেও বাধটি টিকিয়ে রাখা সম্ভব হলো না। বাঁধ ভেঙ্গে সবটুকু পানি নি¤œাঞ্চলে নেমে যাওয়ায় খালটি শুকিয়ে যাওয়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে। যেটুকু পানি ওই খালে রয়েছে তা দিয়ে বীজ তলায়ও সেচ দেয়া সম্বব নয়। তারপরও বাঁধটি মেরামত করে পানি আবারও জমা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরা। স্থানীয় কৃষকরা আরও বলেন, আমাদের ওই খালে প্রতিবছর বাঁধ নির্মান করে সেচের পানি সংরক্ষণ করা হয়। কিন্তু তার পরও সময়মতো পানি সংকট থেকে যায়। যদি সরকারি কোন উদ্যোগে আমাদের ওই হাওরে কোন সেচ প্রকল্প স্থাপন কিংবা একটা সুইচ গেট স্থাপন করা হয় তাহলে দেড় থেকে দুই সহ¯্রাধিক কৃষকের পানি সংকট নিরসন হবে। এতে করে আশার সঞ্চার জাগবে নতুন কৃষকদের মাঝে।
স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর খলিলুর রহমান বলেন, আমরা পৌরসভার মাধ্যমে ওই স্থানে প্রতিবছর বাঁধ নির্মান করে থাকি। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। কিন্তু নদীর পানির স্রোতে হঠাৎ ওই খালের পাড় ভেঙ্গে যাওয়ায় বাঁধে তার প্রভাব পড়লে বাঁধটি ভেঙ্গে যায়। তার পরও আমরা বাঁধ মেরামত করে পুণরায় পানি সংরক্ষনের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার কৃষি বান্ধব সরকার। কৃষকদের সহযোগিতায় এ সরকার নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তবে আমাদের ওই এলাকার কৃষকদের স্বার্থরক্ষায় যদি ওই স্থানে একটি সুইচ গেট কিংবা সরকারি অর্থায়নে একটি সেচ প্রকল্প স্থাপন করা যায় তাহলে দুই ইউনিয়ন ও আমাদের পৌরসভার প্রায় দেড় সহ¯্রাধিক কৃষক আলোর পথ দেখবে আমার বিশ্বাস।