March 19, 2024, 5:52 pm

সংবাদ শিরোনাম
সিলেট তামাবিল মহাসড়কে ক্যারিক্যাব ও পিকআপের সংঘর্ষে নিহত ৫, আহত ৭ কুড়িগ্রামে ৩ শতাধিক রোগীদেরকে ফ্রি চিকিৎসা সেবা প্রদান কুড়িগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রচারণায় পুলিশ সিংড়ায় চলনবিলে সরকারী খাল দখলমুক্ত হওয়ায় মাছ ধরলো শত শত মানুষ র‍্যাবের অভিযানে রাজশাহীর বানেশ্বরে জোরপূর্বক চাঁদা আদায়ের সময় চক্রের মূলহোতা’সহ গ্রেফতার- ৩ বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে লালমনিরহাট জেলা পুলিশের বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন তিস্তা ইউনিভার্সিটিতে বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস পালন জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দলবদ্ধ হামলা লুটপাট ও ভাঙচুর, রমেকে ভর্তি র‍্যাবের অভিযানে জুয়া খেলার সরঞ্জাম, ফেন্সিডিল ও নগদ অর্থ উদ্ধার’ ০৮ পেশাদার জুয়ারী ও মাদকসেবী গ্রেফতার চিনিকলের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও বেতারের সাবেক শিল্পী নাজমুল ইসলামের ইন্তেকাল

হঠাৎ বাড়ল মৃত্যু ও শনাক্ত

ডিটেকটিভ ডেস্কঃঃ

 

দেশে আবারো বেড়ছে করোনা দৈনিক মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা গত দেড় মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এ সময় শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৯৫৬ জন। যা প্রায় আট সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ। এ সময় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৬২ শতাংশ।

এর আগে ২৪ ঘন্টায় এরচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছিল গত ২২ এপ্রিল, সেদিন ৪ হাজার ১৪ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ার কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আর এক দিনে এর চেয়ে সর্বোচ্চ মৃত্যু হয় গত ৪ মে। সেদিন করোনাভাইরাসে ৬১ জনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

দেশে এ পর্যন্ত করানায় মোট মারা গেছেন ১৩ হাজার ২৬২ জন এবং মোট শনাক্ত হয়েছেন ৮ লাখ ৩৭ হাজার ২৪৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৬৭৯ জন এবং এ পর্যন্ত মোট সুস্থ ৭ লাখ ৭৩ হাজার ৭৫২ জন।

বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। গত ২৪ ঘন্টায় ২৩ হাজার ৮০৭ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৬২ শতাংশ।

গত বছরের ৮ মার্চ দেশে সর্বপ্রথম করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়। রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আড়াই মাস পর গত বছরের ১০ জুন মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ছাড়ায়। এরপর ৫ জুলাই ২ হাজার, ২৮ জুলাই ৩ হাজার, ২৫ অগাস্ট ৪ হাজার, ২২ সেপ্টেম্বর ৫ হাজার ছাড়ায় মৃতের সংখ্যা।

এরপর কমে আসে দৈনিক মৃত্যু। ৪ নভেম্বর ৬ হাজার, ১২ ডিসেম্বর ৭ হাজারের ঘর ছাড়ায় মৃত্যুর সংখ্যা। এ বছরের ২৩ জানুয়ারি ৮ হাজার এবং ৩১ মার্চ মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৯ হাজার ছাড়ায়।

সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর পর ১৫ দিনেই এক হাজার রোগীর মৃত্যু ঘটে, গত ১৫ এপ্রিল মৃতের মোট সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যায়।এর পরের এক হাজার মৃত্যু ঘটতে সময় লাগে আরো কম, মাত্র দশ দিনে মৃতের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়ে যায় ২৫ এপ্রিল। তার ১৬ দিন পর ১১ মে করোনাভাইরাসে মৃত্যু ১২ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এক মাসের মাথায় শুক্রবার তা ১৩ হাজার ছাড়াল। এর মধ্যে ১৯ এপ্রিল রেকর্ড ১১২ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে কোনোরকম ঝুঁকি না নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ জন্য কোনো এলাকায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেশি হলে সেসব এলাকায় চলাচলসহ অন্যান্য কার্যক্রম স্থানীয়ভাবে বন্ধ (ব্লক) করে করোনা নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করতে বলেছেন। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে আবারও মনে করিয়ে দিতে বলেছেন তিনি।

জাতীয় সংসদে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশ দেন। পরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

বিশ্বে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ১৭ কোটি ৪৪ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৩৭ লাখ ৫৯ হাজারের বেশি মানুষের। এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, তা বোঝার একটি নির্দেশক হলো রোগী শনাক্তের হার। কোনো দেশে টানা অন্তত দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়।

//ইয়াসিন//

Facebook Comments Box
Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর