বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ডিবি পুলিশ নাভারণ সার্কেল এএসপি এবং শার্শা থানা পুলিশের সম্বন্নয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।ইসরাফিল হোসেন ওই গ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে।
ঘটনা তদন্ত অনুসারে জানা যায়, গত ২৭ আগষ্ট রাতে খাবার খেয়ে বাড়ি থেকে বের হয় ই¯্রাফিল। রাতে বাড়িতে আসতে দেরি হওয়ায় তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে কল করলে বন্ধ পায় পরিবারের সদস্যরা। এরপর সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ খবর নিয়েও ইসরফিলের কোন সন্ধান না পাওয়ায় গত ২৯ আগষ্ট স্ত্রী রোজিনা খাতুন শার্শা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
শার্শা থানা পুলিশ বিষয়টি অতিদ্রæত ডিবিতে পাঠিয়ে দিলে ডিবি পুলিশের অনুসন্ধানি টিম তিন দিনের মধ্যেই ইসরাফিলের লাশ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
যশোর জেলা গোয়েন্দা শাখার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই মফিজুল ইসলাম বলেন, শার্শা থানায় দায়ের করা সাধারণ ডায়েরির পরিপেক্ষিতে আমার টিম নিয়ে তদন্ত শুরু করি এবং ইসরাফিল হত্যাকারী হিসাবে নুর মোহাম্মদ নামে একজনকে আটক করি। এবং তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে অন্য দুই সহযোগীকেও আটক করা সহ কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের মল্লেপাড়া নামক একটি জঙ্গলের কবরস্থান থেকে লাশ উদ্ধার করেছি।
আটক আসামীরা হলেন, কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের ইসমাইল হোসেনের স্ত্রী মর্জিনা খাতুন (৩৫), মৃত আহম্মদ তরফদারের ছেলে মোশারেফ হোসেন (৪৫) ও নুর মুহাম্মদের ছেলে আলম হোসেন (৪০)।
এবিষয়ে নাভারণ সার্কেল এএসপি জুয়েল ইমরান জানান, ডিবি’র অনুসন্ধানে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে একটি চাঞ্চল্যকর হত্যার ঘটনা উদঘাটন করতে পেরেছি তাও আবার খুবই অল্প সময়ে। লাশ যশোর মর্গে পাঠানো হয়েছে। এবং হত্যার সাথে জড়িত তিন জনকে আটক করা হয়। হত্যার মুল কারণ আসামীদেরকে বাকী জিজ্ঞেসাবাদের পরে জানা যাবে। মুল ঘটনা জেনে সাংবাদিকদের কে জানানো হবে।