রুহুল আমীন খন্দকার, ব্যুরো প্রধান :
রাজশাহীতে জোরপূর্বক রাস্তা বন্ধ করায় প্রায় ১৫০টি নিজস্ব ও ভাড়াটিয়া পরিবার ভোগান্তিতে পড়েছেন। এমন অভিযোগ তুলে সোমবার (১৩ জুলাই) ২০২০ ইং দুপুরে বিসিক মোড়ের ম্যাংগো টাওয়ারে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগিরা। সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করা হয় যে, রাস্তার সাথে থাকা ড্রেনও বন্ধ করা হয়েছে। এনিয়ে ২০১৯ সালের ০২ আগস্ট নগরীর বোয়ালিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন ভুক্তভোরীরা।সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পবা মৌজার দলিল নম্বর ৫৮৩৮, হোল্ডিং নম্বর ২৭৬২, খতিয়ান নম্বর ২৯২০, জেল নম্বর ৮১, ডিসিআর নম্বর ৮৬৮৩৩/৯। পুরো জমির মালিক আব্দুস সালামসহ কয়েকজন। তারা দেশের বাইরে যাওয়ার পরে এই জমির দেখা শোনা করেন আবুল কালাম আজাদ ও তাজুল ইসলাম। এর পরে জমির মালিকরা জমিগুলো বেশ কয়েকজনের কাছে বিক্রি করেছেন। বিক্রির সময় জমির মালিক দলিলে উল্লেখ করেন ১২ ফুটের রাস্তার কথা। যদিও এই রাস্তার পাশে সরকারি ড্রেনও রয়েছে। তার পরেও রাস্তা পুরোপুরি ব্যবহার করতে দেওয়া হচ্ছে না।সংসাদ সম্মেলনে আরও অভিযোগ করা হয়, সেই জমিতে অনেকই ভবন নির্মাণ করেছেন। ভবন থেকে বের হওয়া সম্ভব হচ্ছে না বসবাসকারিদের। কেয়ারটেকার আবুল কালাম আজাদ ও তাজুল ইসলাম মিলে সবার রাস্তা বন্ধ করে রেখেছেন। তারা বিভিন্ন সময় চাঁদাও দাবি করেন। তাদের চাঁদার টাকা না দেওয়ায় রাস্তা ছাড়ছেন না, এমন অভিযোগ করা হয়।এবিষয়ে কেয়ার টেকার তাজুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, আমি আর সেই জমিগুলো দেখা-শোনা করি না। অন্যজন দেখা-শোনা করেন। আর জমির মালিকরা দেশের বাইরে আছেন। রাস্তার বিষয়ে কথা থাকলে তাদের সাথে বলতে হবে। তিনি আরও জানান, জমির মালিক আবদুস সালাম, আবদুস সেলিম ও শাহানাজ বেগম তারা বিভিন্ন ব্যাক্তির কাছে জমি বিক্রি করেছেন।ওই দলিলে উল্লেখ রয়েছে বিএনসিসির পাশের রাস্তা দিয়ে এয়ারপোটের রাস্তার সাথে সংযুক্ত। পুরনো নওহাটা সড়কের রাস্তা নিতে হলে শাহানাজ বেগমের সঙ্গে কথা বলতে হবে। তার জমি তিনিই সিদ্ধান্ত নিবেন। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, আবদুল মালেক, এহসানুল হক, আশিক ইসলাম টফি, দুরুল হুদা, আবদুর রহমান, আবদুল হামিদ, মাসুদ রহমান প্রমুখসহ বেশ কয়েকজন গণমাধ্যম কর্মী।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/১৩ জুলাই ২০২০/ইকবাল