March 28, 2024, 4:14 pm

সংবাদ শিরোনাম
র‍্যাব-৫, এর অভিযানে রাজশাহীর গোদাগাড়ী সীমান্তবর্তী দূর্গম চর হতে ১১০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার’ চিলমারীতে স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামীর সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত রংপুরে নিরাপদ খাদ্য সরবরাহে কতৃপক্ষের ব্যাপক অভিজান পীরগঞ্জের ১৫টি পরিবারের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা বন্ধ, মামলার রায় পেয়েও ১৭ মাস ধরে অবরুদ্ধ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলে কাটা পড়ে কিশোরীর মৃত্যু ঠাকুরগাঁওয়ে ওয়ার্ল্ড ভিশনের উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিত নারীদের মাঝে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান ভোলা বোরহানউদ্দিনে নানা আয়োজনে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হলো নবাবগঞ্জে মেধা বিকাশ কোচিং সেন্টারের পক্ষ থেকে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত সিলেটে পথচারীদের মাঝে ইফতার বিতরণ করেছে জমিয়ত সুন্দরগঞ্জে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপণ

রংপুরে বাবু সোনা হত্যা মামলার বিচার শুরু

রংপুরে বাবু সোনা হত্যা মামলার বিচার শুরু

ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক

 

রংপুরের বিশেষ জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট রথীশ চন্দ্র ভৌমিক বাবু সোনা (৫৮) হত্যা মামলার (অভিযোগপত্র) চার্জ গঠন করেছেন আদালত।  গতকাল রোববার অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে জেলা ও দায়রা জজ এবিএম নিজামুল হক বিচার কার্যক্রম শুরুর আদেশ দেন। মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ আগামি ৩০, ৩১ অক্টোবর ও ১ নভেম্বর নির্ধারণ করেছেন আদালত। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবদুল মালেক ও মামলার বাদী নিহত বাবু সোনার ছোট ভাই সাংবাদিক সুশান্ত ভৌমিক সুবল।  এর আগে সকাল ৯টার দিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে এ মামলার অভিযুক্ত দুই আসামি নিহত বাবু সোনার স্ত্রী স্নিগ্ধা সরকার দীপা এবং তার প্রেমিক একই স্কুলের শিক্ষক কামরুল ইসলামকে আদালতে হাজির করা হয়।  হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দীপা ও কামরুল ইসলামকে অভিযুক্ত করে গত ১৩ সেপ্টেম্বর অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আরিফা ইয়াসমীন মুক্তার আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তৎকালীন রংপুরের কোতোয়ালি থানার উ-পপরিদর্শক (এসআই) আল-আমিন। পরে শুনানি শেষে মামলাটি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বদলির আদেশ দেন আদালত।  মামলার বিবরণে জানা যায়, নগরীর তাজহাট উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা স্নিগ্ধা সরকার দীপার সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে একই স্কুলের শিক্ষক কামরুল ইসলামের। মূলত পরকীয়া প্রেম, পারিবারিক অশান্তি ও বাবু সোনার অর্থ-সম্পত্তি আত্মসাতের আশায় তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন দীপা এবং কামরুল। আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে দুইজনেই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছেন।

প্রসঙ্গত, গত ২৯ মার্চ দিনগত রাত আনুমানিক ১০টার দিকে বাবু সোনাকে ভাত ও দুধের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ান স্ত্রী দীপা। ঘটনার দুই ঘণ্টা আগে থেকেই বাবু সোনার শোয়ার ঘরের পাশে অবস্থান নেন কামরুল ইসলাম। ওষুধ খাওয়ানোর পর বাবু সোনা অচেতন হয়ে পড়লে কামরুল ঘরে ঢুকে নিপাকে নিয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে তাকে হত্যা করেন। বাবু সোনা নিখোঁজের পর ৩১ মার্চ (শনিবার) কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি ও পরদিন থানায় মামলা করেন তার ছোট ভাই সুশান্ত ভৌমিক সুবল। এরই ধারাবাহিকতায় তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে ৬ এপ্রিল (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় বাবু সোনার স্ত্রী দীপাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র‌্যাব আটক করে। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি এ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেন এবং মরদেহের অবস্থান সম্পর্কে জানান। ওইদিন রাত ২টার দিকে বাবু সোনার নিজ বাড়ি তাজহাট বাবুপাড়া থেকে আধা কিলোমিটার দূরে তাজহাট মোল্লাপাড়া থেকে শিক্ষক কামরুল ইসলামের ঢাকায় বসবাসরত বড় ভাইয়ের নির্মাণাধীন বাড়ির ঘরের মাটি খুঁড়ে বাবু সোনার মরদেহ উদ্ধার করে র‌্যাব।

Facebook Comments Box
Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর