মিটার প্রতি ৩০ টাকা দিলে কখনই আর বিদ্যুৎ যাবে না। এ কথা বলে এলাকার পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকদের নিকট থেকে টাকা উত্তোলন করছিল সাইদুর রহমান নামের এক প্রতারক। বিষয়টি গ্রাহক পর্যায় থেকে গোপনে কালীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের জোনাল অফিসকে জানানো হয়। এরপর বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা এলাকায় গিয়ে বিষয় টির তদন্ত করলে সত্যতা মেলে। পরে বিষয়টি স্থানীয় সাংসদসহ জন প্রতিনিধি দেরকে জানিয়ে টাকা নেয়া প্রতারকের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষনা দেয়া হলে নিশ্চিত বিপদ বুঝতে পেরে জনপ্রতিনিধিদের কাছে এসে ক্ষমা চেয়ে উত্তোলনকৃত টাকা ফেরত দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় এ যুবক।গত শুক্রবার সকালে উপজেলার তালেশ্বর বাজারে গ্রাহকদের সামনে উপস্থিত হয়ে সে নিজ হাতে সকলের টাকা ফেরত ও লিখিত মুচলেকা দিয়ে এ যাত্রা রক্ষা পেলো। সে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ছোট ঘিঘাটি গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে। শুক্রবার সকালে শত শত মানুষের সামনে আনুষ্ঠানিকভাবে এ টাকা ফেরত দেয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শিবলী নোমানী, পল্লী বিদ্যুতের কালীগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম মোঃ আব্দুর রব, ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ছানা, পল্লী বিদ্যুতের সদর অফিসের ডিজিএম (কারিগরী) বাবু যতিন মল্লিক, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এলাকা পরিচালক আব্দুল গফ্ফার প্রমূখ।পল্লী বিদ্যুতের কালীগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম মোঃ আব্দুর রব জানান, সাইদুর রহমান নামের স্থানীয় ওই যুবক এলাকার ফেস পরিবর্তনের কথা বলে মিটার প্রতি ৩০ টাকা করে উত্তোলন করে। এ এলাকায় প্রায় আড়াইশ মিটার রয়েছে। তার হাতে প্রাপ্ত তথ্য মোতাবেক মোট ৬৫ গ্রাহকের নিকট থেকে সাইদুর টাকা উত্তোলন করেছে। তাদের সকলের টাকা সে ফেরত দিয়ে ক্ষমা চেয়ে রক্ষা পেয়েছে। তিনি বলেন, বিদ্যুতের সেবা নিতে যেই হোন গ্রাহকদের নিকট থেকে কোন রকমের টাকা দাবি করলেই এভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/২৬ আগস্ট ২০১৯/ইকবাল