রুহুল আমীন খন্দকার, ব্যুরো প্রধান :
রাজশাহী বিভাগকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, সুখবর হচ্ছে রাজশাহী বিভাগে করোনাভাইরাসের কোনো প্রাদুর্ভাব দেখা যায়নি। সেজন্য আমি রাজশাহীবাসীকে আন্তরিক ভাবে অভিন্দন জানাচ্ছি। মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) ২০২০ ইং গণভবন থেকে ৬৪ জেলা প্রশাসকের (ডিসি) সঙ্গে ভিডিও কনফা রেন্সের সময় রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কথা শুনার পর প্রধানমন্ত্রী এই অভিনন্দন জানান।কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার মনে হয়, এটা একটা সুখবর যে, অন্তত রাজশাহী বিভাগে এ ধরনের করোনাভাইরাসের কোনো প্রাদুর্ভাব দেখা যায়নি। সেইজন্য আমি আপনাদের সবাইকে অভিন্দন জানাচ্ছি। এর আগে অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেন, রাজশাহী বিভাগে যে আটটি জেলা রয়েছে এখানে এখন পর্যান্ত একটি করোনা ভাইরাসের রোগীও চিহ্নিত হয়নি। এখানে সাসপেক্টেড (করোনা সন্দেহভাজন) ছয়জন ছিল, তাদের নমুনা সংগ্রহ করে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) পাঠিয়েছিলাম। ছয়টিই নেগেটিভ হয়ে এসেছে।বিভাগীয় কমিশনার বলেন, এ বিভাগে করোনা ভাইরাসের রোগী যদি পাওয়া যায়, তা মোকাবিলা করার জন্য এক হাজার ৬৮০টি বেড প্রস্তুত রেখেছি। এর মধ্যে বেসরকারি ছয়টি ক্লিনিকও রয়েছে। এ বিভাগে পার্সোনাল প্রটেকশন ইকুইপমেন্টের (পিপিই) কোনো ঘাটতি নেই। যথেষ্ট পরিমাণে সাপ্লাই দেয়ার পরও এখনও পাঁচ হাজার পিপিই মজুত রয়েছে।তিনি বলেন, যেহেতু আমরা সবাইকে এখন কোয়ারে ন্টাইনে রেখেছি, ঘরে পাঠিয়েছি, তাই দিনমজুর যারা রয়েছেন, রিকশাচালক, ভ্যান চালক তারা যেন কষ্টে না থাকে, সেজন্য দশ টাকা কেজিতে চাল বিতরণ, টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রম চালু রয়েছে। একই সঙ্গে, এ বিভাগে ৯২১ টন চাল দুস্থ মানুষদের মাঝে বিতরণ করেছি।এখনও আমাদের হতে দুই হাজার ৪০০ টন চাল আছে। ৮১ লাখ টাকাও আছে। আমি একটা বিষয়ে আশ্বস্ত করতে চাই যে, সরকারি যে গোডা উনগুলো রয়েছে, এখানে তিন লাখ ৬৪ হাজার টন খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে। চালকল ও কৃষকের ঘরেও প্রচুর পরিমণ চাল রয়েছে। অর্থাৎ আাগামী ৬ থেকে ৭ মাস রাজ শাহী বিভাগের কোনো মানুষও যদি কোনো কাজ না করে, তাহলেও তাদেরকে আমা দের সরকারি মজুত থেকে দিতে পারব। সরকারের পাশাপশি বেসরকারি ভাবেও বিত্তবানরা করোনা মোকাবিলায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। আমরা সম্মিলিত ভাবে কাজ করছি বলে জানান বিভাগীয় কমিশনার।এ বিয়য়ে মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, দেশে যখনই করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়, তখন থেকেই আমারা বিভাগীয় কমিশনারের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ ও সিটি করপোরেশন দফায় দফায় মিটিং করে করোনা নিয়ে প্রস্তুতি নির্ধারণ করেছিলাম।এরপর আমরা যৌথভাবে করোনা মোকাবিলায় কাজ করছি।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/৩১ মার্চ ২০২০/ইকবাল