March 28, 2024, 8:46 pm

সংবাদ শিরোনাম
মুন্সিগঞ্জ জেলার বৈখর এলাকা হতে ০৩টি দেশীয় অস্ত্র পাইপগান ফেনসিডিলসহ ০২ জন অবৈধ অস্ত্রধারী গ্রেপ্তার কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করলেন ভূটানের রাজা ৭২ হাজার জাল টাকাসহ চক্রের সদস্য গ্রেফতার পটুয়াখালীতে শ্রমীক লীগ সভাপতির বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ সুন্দরগঞ্জে সাজাপ্রাপ্ত আসামীসহ ৯ জুয়াড়ি গ্রেপ্তার র‍্যাব-৫, এর অভিযানে রাজশাহীর গোদাগাড়ী সীমান্তবর্তী দূর্গম চর হতে ১১০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার’ চিলমারীতে স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামীর সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত রংপুরে নিরাপদ খাদ্য সরবরাহে কতৃপক্ষের ব্যাপক অভিজান পীরগঞ্জের ১৫টি পরিবারের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা বন্ধ, মামলার রায় পেয়েও ১৭ মাস ধরে অবরুদ্ধ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলে কাটা পড়ে কিশোরীর মৃত্যু

বোয়ালমারী মহিলা কলেজে অনার্স ব্যবহারিক পরীক্ষায় অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ

কামরুল সিকদার, বোয়ালমারী (ফরিদপুর) থেকে ঃ

ফরিদপুরের বোয়ালমারী পৌর শহরে অবস্থিত নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কাজী সিরাজুল ইসলাম মহিলা কলেজে অনার্স শাখায় মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় এবং এইচএসসি বি.এম শাখার পরীক্ষার্থীদের কাছ অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।কলেজ সূত্রে জানা যায়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০১৮ সালের ৪র্থ বর্ষ অনার্স ফাইনাল পরীক্ষা গত ৭ এপ্রিল ২০১৯ থেকে শুরু হয়। অনুষ্ঠিত অনার্স ফাইনাল পরীক্ষায় কাজী সিরাজুল ইসলাম মহিলা কলেজ থেকে সমাজকর্ম, বাংলা, হিসাববিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা বিভাগের ১৫৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেন। পরীক্ষায় অংশ নেয়া পরীক্ষার্থীদের নিকট থেকে বোর্ড ধায্যকৃত ফি এর বাইরে অনার্স শাখার চারটি বিভাগের প্রধানরা পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে রশিদ ছাড়া অতিরিক্ত অর্থ আদায় করেছে। এর মধ্যে বাংলা বিভাগের প্রধান ড. হোসনেয়ারা ৪৪ জন পরীক্ষার্থীর নিকট থেকে ৪৪ হাজার, ব্যবস্থাপনা বিভাগের রবিন কুমার লস্কর ৪৩ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ৪৩ হাজার, হিসাববিজ্ঞান বিভাগের তন্দ্রা রানী দাস ৩৩ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ৩৩ হাজার এবং সমাজকর্ম বিভাগের মো. ফরহাদুল ইসলাম সিকদার ৪৪ জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৪৮ হাজার ৪শ টাকাসহ মোট ১ লাখ ৫৯ হাজার ৪শ টাকা অতিরিক্তি আদায় করেছে। এছাড়া বিএম শাখার এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের নিকট থেকে ব্যবহারিক পরীক্ষার ফি বাবদ অতিরিক্তি ১৭৮ জন পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১শ টাকা করে ১৭ হাজার ৮শ টাকা আদায় করেন সহকারী অধ্যাপক মো. আলমগীর হোসেন।ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক রবিন কুমার লস্কর পরীক্ষার্থী প্রতি অতিরিক্ত ১ হাজার করে নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, কলেজের অধ্যক্ষের অনুমতি নিয়েই এ টাকা নেয়া হয়েছে।বাংলা বিভাগের প্রধান সহযোগি অধ্যাপক ড. হোসনেয়ারাকে মোবাইল ফোনে অতিরিক্ত টাকা নেয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি ফোনে কথা বলার অস্বীকৃতি জানিয়ে সরাসরি কথা বলার জন্য কলেজে আমন্ত্রণ জানিয়ে ফোনের সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করেন।কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ খন্দকার আবু মোরসালিনের নিকট মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে পরে কথা বলবেন বলে ফোন কেটে দেন।কলেজের প্রতিষ্ঠাতা, গভর্ণিং বডির সভাপতি ও বাংলাদেশ আ’লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য কাজী সিরাজুল ইসলাম বলেন, কলেজের শৃঙ্খলা ভেঙে যদি কেউ অনৈতিক সুবিধা গ্রহণ করে থাকে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

প্রাইভেট ডিটেকটিভ/১৭জুলাই ২০১৯/ইকবাল

Facebook Comments Box
Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর