কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি ॥
পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মনষাতলী খালের দুই পাড়ের দীর্ঘ তিন কিলোমিটার জুড়ে এখন চলছে দখল সন্ত্রাস। প্রায় ৩০০ মিটার প্রস্থ খালটির দুই পাড়ে দেদা সে দখল করে পুকুর এবং বাড়িঘর তৈরি করায় ক্রমশ সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। সরকারি খাল-বিলসহ খাস জমি ব্যবস্থাপনা ও রক্ষায় নিয়োজিত সংশ্লিস্ট উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তারা দখল বন্ধে কোন আইনানুগ ব্যবস্থা না নেয়ায় দিনদিন খালটি ভরাট ও দখল হয়ে সরকারের বিপুল পরিমান খাস খাল-জমি বেহাত হয়ে যাচ্ছে।
ধুলাসার ইউনিয়নের উত্তর-পশ্চিম দিকে মনষাতলী খালটির অবস্থান। প্রায় তিন কিলোমিটার দীর্ঘ ও তিনশ মিটার প্রস্থ এই খালের দুই পাড়ের পাঁচ গ্রামে বসবাস রয়েছে প্রায় দুই হাজার পরিবারের। তারিকাটা, মনষাতলী, সুখডুগী, বরকতিয়া গ্রামের মানুষ এই খালটির পানি গোসল, রান্নাসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করছে। এমনকি এ বছর বহু কৃষক এ খালের পানির ওপর নির্ভর করে বোরোর আবাদ করেছেন। কিন্তু খালের দুই পাড়ের শত শত পরিবার নিজেরাই খালটির পাড় দখল করে পুকুর, বাড়িঘর তৈরি করার ফলে নিজেদের সর্বনাশ নিজেরাই ডেকে আনছে।
স্থানীয়রা জানান, দশ বছর ধরে খালটির দুই পাড় দখল প্রক্রিয়া শুরু হয়। যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। দুই পাড় দিয়ে চলাচলের রাস্তা রয়েছে। এ রাস্তার পাশে খালের পাড় পর্যন্ত চলছে দখল সন্ত্রাস। শতাধিক পুকুর করে খালটি অপ্রশস্ত করা হয়েছে। কেউ কেউ ঘরবাড়ি তুলেছেন। এমন প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। স্থানীয় কয়েকজন কৃষক জানান, যেখানে খালটি পুনর্খনন করা প্রয়োজন সেখানে দুই পাড় দেদার দখল করে পুকুর ও বাড়িঘর তোলা হচ্ছে। ফলে খালটি বেহাত এবং ভরাট হয়ে যাচ্ছে।
কলাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) খন্দকার রবিউল ইসলাম জানান, সরকারি খাল দখল করলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/৫ মার্চ ২০১৮/রুহুল আমিন