নোয়াখালী প্রতিনীধি::
বেগমগঞ্জ উপজেলা সেটেলমেন্ট কার্যালয়ে দালাল মাধ্যম ছাড়া ছাপা খতিয়ান পেতে ভূমি মালিকরা হয়রানি সহ অনিয়ম এর শিকারে পড়েছে। জানা যায়- নাটেশ্বর, লাউতলী, বাবু নগর, সাতকানিয়া, জয় কৃষ্ণপুর সহ উপজেলার বিভিন্ন মৌজার ছাপা খতিয়ান ও নক্সা বিতরণ কার্যক্রম চলছে। ভূমি মালিকরা কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় প্রতিনিয়ত লাইন ধরে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকে সহজে সরকারী নির্ধারিত ক্রম মূল্যে ছাপা খতিয়ান ও নক্সা নিতে পারছে না। সেটেলমেন্ট কার্যালয়ের কর্মচারীদের সহযোগিতায় দালালদের মাধ্যমে খতিয়ান বাবদ ৩ শত টাকা ও নক্সা বাবদ ৮ শত / এক হাজার টাকা বিনিময় হলে সহজে মিলে যায় ছাপা খতিয়ান। রেকর্ড কিপার মাহফুজ সহ কর্মকর্তা-কর্মচারী ভূমি মালিকদের বলে উপর থেকে এ গুলো আনতে টাকা কড়ি লাগে এ জন্য অতিরীক্ত বিক্রয় মূল্য নেয়া হয়। উপজেলা পর্যায়ে ছাপা খতিয়ান বিতরনের জন্য মাত্র ত্রিশ দিন বেঁধে দেওয়া হয়। এ পর্যায়ে যারা নিতে পারেন তারা এখান থেকে নিয়ে যায়। যারা নিতে পারে না তাদের গুলো পরবর্তিতে মেয়াদ শেষে মাইজদীতে কচি মিয়ার বিল্ডিং এ মেয়াদ শেষে উপজেলা থেকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ফলে ভূমি মালিকরা আরো কয়েকগুন বেশি হয়রানির শিকার হয়। সরকার ও প্রকৃত রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়। এতো স্লল্প সময়ে অধিকাংশ মৌজার ভূমি মালিকগন ছাপা খতিয়ার বিতরনের খবরটি ও পাননা। ভুক্ত ভোগী ভূমি মালিকদের দাবী উপজেলা পর্যায় থেকে ছাপা খতিয়ান বিতরনের সময়সীমা ৯০ দিন ধার্য করা হোক। এ অনিয়মের প্রতিকার কবে দেখতে পাবে ভুক্তভোগী সমাজ।