March 29, 2024, 6:58 am

সংবাদ শিরোনাম
মুন্সিগঞ্জ জেলার বৈখর এলাকা হতে ০৩টি দেশীয় অস্ত্র পাইপগান ফেনসিডিলসহ ০২ জন অবৈধ অস্ত্রধারী গ্রেপ্তার কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করলেন ভূটানের রাজা ৭২ হাজার জাল টাকাসহ চক্রের সদস্য গ্রেফতার পটুয়াখালীতে শ্রমীক লীগ সভাপতির বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ সুন্দরগঞ্জে সাজাপ্রাপ্ত আসামীসহ ৯ জুয়াড়ি গ্রেপ্তার র‍্যাব-৫, এর অভিযানে রাজশাহীর গোদাগাড়ী সীমান্তবর্তী দূর্গম চর হতে ১১০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার’ চিলমারীতে স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামীর সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত রংপুরে নিরাপদ খাদ্য সরবরাহে কতৃপক্ষের ব্যাপক অভিজান পীরগঞ্জের ১৫টি পরিবারের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা বন্ধ, মামলার রায় পেয়েও ১৭ মাস ধরে অবরুদ্ধ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলে কাটা পড়ে কিশোরীর মৃত্যু

বিশ্বের সেরা ১০ পোশাক কারখানার ৭টি বাংলাদেশে: বাণিজ্যমন্ত্রী

বিশ্বের সেরা ১০ পোশাক কারখানার ৭টি বাংলাদেশে: বাণিজ্যমন্ত্রী

ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক

ইউনাইটেড স্টেটস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) কর্তৃক প্রত্যায়িত বিশ্বের সেরা ১০ পোশাক কারখানার মধ্যে ৭টি বাংলাদেশে অবস্থিত। এ পর্যন্ত ৬৭টি কারখানাকে ইউএসজিবিসি কর্তৃক সবুজ কারখানা হিসেবে প্রত্যয়ন করা হয়েছে। আরও প্রায় ৩০০টি সবুজ পোশাক কারখানা নির্মাণাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের লিখিত জবাবে এ তথ্য জানান বাণিজ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, শ্রম আইন ও শ্রম বিধিমালা অনুসারে গ্রিন ফ্যাক্টরি সম্পর্কিত প্রত্যক্ষ কোন বিধান নেই। তবে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের জানুয়ারি, ২০১৭ থেকে ডিসেম্বর, ২০১৭ পর্যন্ত কমপ্লায়েন্স প্রতিবেদন অনুসারে ‘এ’ গ্রেডভুক্ত তৈরি পোশাক কারখানা ৪৩৬ এবং ‘বি’ গ্রেডভুক্ত তৈরি পোশাক কারখানার সংখ্যা ২২৮টি।

তৈরি পোশাক কারখানাসমূহ পরিবেশবান্ধব ও পর্যায়ক্রমে গ্রিন ফ্যাক্টরির ধারণাভুক্ত করে কমপ্লায়েন্স নিশ্চিতকরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল আহমেদ বলেন, বিশ্বের ২১টি মিশনে বাণিজ্যিক উইং রয়েছে। এর মধ্যে ৯টি মিশন চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম চার মাসের লক্ষ্য অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছে। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো হতে ওই মিশনসমূহের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা তথা কমার্শিয়াল কাউন্সিলর/প্রথম সচিব/ইকোনোমিক কাউন্সিলরদেরকে স্ব স্ব বাজার বিশ্লেষণ করে ব্যর্থতার কারণ জানানোর জন্য লেখা হয়েছে, যাতে আমরা পরবর্তীতে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে করতে পারি। এর মধ্যে কিছু জবাব পাওয়া গেছে এবং সে অনুযায়ী সরকারের প্রয়োজনীয় কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ঝুঁকি মোকাবেলায় ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেতন করতে সরকারের নানাবিধ পরিকল্পনা রয়েছে। ডব্লিউটিও সেল কর্তৃক প্রতি বছর ঝুঁকি মোকাবেলা বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়ে থাকে। চলতি অর্থবছরে ব্যবসায়ী, বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ঝুঁকি মোকাবেলার জন্য ৬টি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি এবং একাধিক কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য বেগম পিনু খানের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যাদি ভোক্তাসাধারণের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে পৌঁছে দেয়া বর্তমান সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গীকার। বাংলাদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যাদির সরবরাহ ও মূল্যের বিষয়টি দেশজ উৎপাদন এবং আমদানীর ওপর নির্ভরশীল।

আন্তর্জাতিক বাজারে এই সকল পণ্যের দাম ওঠা-নামা করলে দেশীয় বাজারেও এর প্রভাব পড়ে থাকে। তাই স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার পর্যবেক্ষণ প্রয়োজনীয় হয়ে থাকে। এর আগে গতকাল সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন তিনি। এসময় তিনি বলেন, বিএনপি কথায় কথায় নির্বাচনে সেনাবাহিনী চায়, সেনাবাহিনী মোতায়েনের কথা বলে, অথচ চিকিৎসার ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর হাসপাতালের ওপর (সিএমএইচ) কোনো আস্থা নেই। কারাবন্দি বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়ার চিকিৎসার দাবিতে দলটির নেতাদের নানা অভিযোগের জবাবে তোফায়েল এ মন্তব্য করলেন।এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এখন তো খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠা শুরু হয়েছে। অনেকে তো মনে করছেন তিনি অসুস্থ নন। কারণ অসুস্থ মানুষ চিকিৎসার ক্ষেত্রে এত সময়ক্ষেপণ করতে পারেন না। রাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় হাসপাতালের চিকিৎসার ওপর তাদের আস্থা নেই। তিনি একজন সেনা কর্মকর্তার স্ত্রী। সারাজীবন সিএমএইচে চিকিৎসা নিয়েছেন, সেনানিবাসে বসবাস করেছেন, অথচ এখন সেই সেনা হাসপাতালেই তার আস্থা নেই। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বন্দি অবস্থায় স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া নিয়ে বিএনপির উদাহরণ টানার বিষয়ে তোফায়েল বলেন, শেখ হাসিনার চিকিৎসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো তখনকার কারা কর্তৃপক্ষ।

শেখ হাসিনা সেখানে (জাতীয় সংসদ ভবন এলাকা) বন্দি ছিলেন, সেখান থেকে স্কয়ার হাসপাতাল কাছে থাকায় তাকে ওখানে নেওয়া হয়েছিলো। এখানে শেখ হাসিনার কোনো চয়েজ ছিলো না। সিএমএইচে অ্যালাও করলে কেউ স্কয়ারে যায় না। নিজের বন্দি জীবনের কথা উল্লেখ করে তোফায়েল বলেন, আমি যখন বন্দি ছিলাম তখন ডা. দ্বীন মোহাম্মদ আমাকে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য সিএমএইচে রেফার করেছিলেন। আমার মেয়ের জামাই ডা. তৌহিদুর রহমান আমাকে সেখানে ভর্তি করার সব ব্যবস্থা করেছিলেন। কিন্তু তারা যখন জানতে পারলো আমি আওয়ামী লীগের তোফায়েল আহমেদ, তখন তারা আমাকে ভর্তি নেয়নি।

এমনকি জামিনও দেয়নি, চিকিৎসার জন্য বিদেশও যেতে দেয়নি। ঈদের পরে বিএনপির সরকার পতনের আন্দোলন সম্পর্কে তোফায়েল বলেন, সরকারকে সরানোর মতো আন্দোলনের সক্ষমতা বিএনপির নেই। তারা যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চায়, তা হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। সহায়ক সরকারের বিষয়েও বিশ্বে কোনো কিছু শোনা যায় না। আর বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনেই নির্বাচন হবে। সংবিধান অনুযায়ী ডিসেম্বরের মাঝামাঝি নির্বাচন হতে পারে। এই নির্বাচনে অংশ না নিলে বিএনপি দল হিসেবেই হারিয়ে যাবে। দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুদ ভালো থাকায় এবারের রমজানে এসব পণ্যের দাম স্বাভাবিক ছিলো বলেও দাবি করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

Facebook Comments Box
Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর