বদরগঞ্জে এক শিশূ ধর্শনকারীকে পুলিশে ধরিয়ে দিয়েছে গ্রামবাসী
স্বরুপ সাহা, বদরগঞ্জ প্রতিনিধি,রংপুর
বদরগঞ্জের মধুপুর ইউনিয়নের রাজারামপুর গ্রামের এক নার্সারীর মালিক আব্দুল হালিম পিতা- মৃতঃ বদিউজ্জামান, তিনি দিনের পর দিন নিজ গ্রামের শিশু ও কিশোরীদের বিভিন্ন প্রকার প্রলোভন দেখিয়ে তাদের সাথে অশ্লীল আচরন ও যৌন সম্পর্ক করে আসছেন । এরই ধারা বাহিকতায় গত শুক্রবার ২৬/১০/২০১৮ ইং তারিখে সে এহিয়াগঞ্জ দ্বিমুখী দাখিল মাদ্রাসার ছাত্রী ৯ বছর বয়সী রাইসা খাতুনকে (ছদ্দ নাম) তার নার্সারীর পাশের আখ খেতে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষন করেন । এবং রাইসাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে কিছু টাকা ধরিয়ে দিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দেন । ঘটনার দুইদিন পর রোজ রোববার রাইসার শারীরিক অবনতি হলে বিষয়টি তার বাবা মার নজরে পরে এবং এক পর্যায়ে মায়ের কাছে সে সব কথা বিস্তারিত বলার পর তাকে বদরগন্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা করানো হয় । এরপর বিষয়টি নিয়ে যখন গ্রামে সোরগোল উঠে ঠিক তখনি রাইসার মতো আরও দুইজন নাজমা খাতুন (৮) ও জেরিনা ইয়াসমিন (১২) (ছদ্দনাম) তারাও তাদের পিতা মাতা ও গ্রামবাসীর কাছে অভিযোগ করেন যে তাদের সাথেও ধর্ষক আব্দুল হালিম একই আচরন করেছেন কিন্তু তারা ভয়ে মুখ খুলেনি । এমতাবস্থায় গ্রাম বাসী অত্যন্ত ক্ষীপ্ত হয়ে উঠে এবং আজ মঙ্গলবার ৩০/১০/’২০১৮ ইং তারিখ সকালে আব্দুল হালিমের বাসা ঘেড়াও করেন । তারপর তাকে বেধে রেখে বদরগঞ্জ থানায় খবর দেন্ । এরই মাঝে মধুপুর ইউপি সদস্য মজিবুর রহমান ও আব্দুল হালিমের চাচাতো ভাই মোঃ আব্দুল ওহাব গ্রামবসীর কাছ থেকে ধর্ষনকারী আব্দুল হালিমকে ছাড়িয়ে নেবার চেষ্টা করেন এবং গ্রামবাসীকৈ হুমকী প্রদর্শন করেন পরে সকাল ১০ টার দিকে বদরগঞ্জ থানার সাব ইন্সপেক্টর লোকেশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা যাচাই করে ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষন করে ধর্ষনকারীকে গ্রেফতার করেন । ধর্ষনকারীর এক প্রতিবেশী শহীদ আলী জানান যে আব্দুল হালিম আগে থেকেই চরিত্রহীন ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত কিন্তু আব্দুল হালিম প্রভাবশালী ও ইউপি সদস্যের শশুর হওয়ায় সাক্ষী প্রমানের অভাবে তার বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলতে পারেনি ।
বিকাল ৫ টায় সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে বদরগঞ্জ থানায় কোন মামলা হয়নি । কিন্তু ভুক্তভোগী শিশুরা সহ তাদের মা বাবারা থানায় অবস্থান করছেন এবং বদরগঞ্জ থানার ওসি শিশু তিনটির কাছেই সরাসরি জবানবন্দি নিয়েছেন এবং ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এসময় শিশু তিনটি বলেন যে তাদের সাথে আব্দুল হালিমের দাদা নাতনি সম্পর্ক তাই তারা আব্দুল হালিমের সাথে কথা বলত । এবং আব্দুল হালিম তাদের কে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের খাবার কিনে খাওয়াতো সাথে ৫/১০ টাকা করেও দিতেন । এরই বিনিময়ে তাদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় স্পর্শ করত । এভাবেই চলতে চলতে এক পর্যায়ে তাদেরকে আখ খেত ও তার নার্সারীতে নিয়ে তাদের কে বিবস্ত্র করে যৌন চাহিদা মেটাতো কিন্তু তারা বাবা মা কে ভয়ে কিছু বলতে ্পারেন নি । এছাড়াও এই বেপারে যাতে তারা কাওকে কিছু না বলেন সে জন্য আব্দুল হালিম তাদেরকে মোটা অংকের টাকা ও মেরে ফেলার হুমকি দিতেন ।