দেশজুড়ে তাঁত শুমারির তথ্য যাচাই শুরু আজ
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ইতোমধেই দেশব্যাপী ‘তাঁত শুমারি পরিচালনা করেছে। তখন দেশের উন্নয়নে তাঁত শিল্পের নানা তথ্য সংগ্রহ করে বিবিএস। আর এখন এসব তথ্য ঠিক আছে কি-না তা যাচাই করতে আজ সোমবার থেকে দেশজুড়ে মাঠে নামছে ১০০ জন সংগ্রহকারী। গতকাল রোববার তাঁত শুমারি ২০১৮ প্রকল্পের তথ্য যাচাইয়ের জন্য সুপারভাইজিং কর্মকর্তা ও সংগ্রহকারীদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়। বিভিন্ন শুমারি পরিচালনার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পদ্ধতি অনুযায়ী তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। কীভাবে নমুনায়নের মাধ্যমে শুমারি পরবর্তী যাচাই কার্যক্রম করা হবে প্রশিক্ষণে তার কঠিন বিশ্লেষণও চলে। আজ সোমবার থেকে পরবর্তী আটদিন দেশব্যাপী শুমারি তথ্য যাচাই চলবে। মূল শুমারিটি বিবিএস’র সেন্সাস-উইং পরিচালনা করলেও এখন এর তথ্য যাচাই হচ্ছে ওই প্রতিষ্ঠানেরই ইন্ডাষ্ট্রি অ্যান্ড লেবার উইংয়ের মাধ্যমে।
বিবিএস জানিয়েছে, ১৯৯০ ও ২০০৩ সালে দেশব্যাপী ১ম ও ২য় তাঁত শুমারি পরিচালনা করা হয়। তাঁত শুমারির প্রধান অংশীজন হচ্ছে বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। আর এতে পাওয়া যায় এ ভূখ-ে তাঁত শিল্পের দীর্ঘ ইতিহাস ও ঐতিহ্য রয়েছে। তথ্য যাচাই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্ত্তী প্রধান আতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ওই বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) আবুয়াল হোসেন, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) বিকাশ কিশোর দাস ও অতিরিক্ত সচিব (তথ্য ব্যবস্থাপনা) বেগম মাহমুদা আকতার বিশেষ অতিথি হিসেবে এতে উপস্থিত ছিলেন। পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক ড. কৃষ্ণা গায়েনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রকল্পটির পরিচালক মহিউদ্দিন আহমেদ তাঁত শুমারির ওপর একটি সংক্ষিপ্ত উপস্থাপনা তুলে ধরেন।
তাতে তিনি বলেন, আমরা সঠিকভাবে শুমারি সম্পন্ন করেছি। তারপরও তথ্যের কোনো গরমিল আছে কি-না এটা যাচাইয়ে দেশব্যাপী কাজ করবো। যেকোনো শুমারির তথ্য যাচাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে মূল শুমারিতে বাদ পড়া ইউনিট কিংবা একাধিকবার গণনায় অন্তর্ভুক্ত ইউনিটগুলোর শতকরা হিসাব সহজেই চিহ্নিত করা যাবে।