March 19, 2024, 5:13 pm

সংবাদ শিরোনাম
সিলেট তামাবিল মহাসড়কে ক্যারিক্যাব ও পিকআপের সংঘর্ষে নিহত ৫, আহত ৭ কুড়িগ্রামে ৩ শতাধিক রোগীদেরকে ফ্রি চিকিৎসা সেবা প্রদান কুড়িগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রচারণায় পুলিশ সিংড়ায় চলনবিলে সরকারী খাল দখলমুক্ত হওয়ায় মাছ ধরলো শত শত মানুষ র‍্যাবের অভিযানে রাজশাহীর বানেশ্বরে জোরপূর্বক চাঁদা আদায়ের সময় চক্রের মূলহোতা’সহ গ্রেফতার- ৩ বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে লালমনিরহাট জেলা পুলিশের বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন তিস্তা ইউনিভার্সিটিতে বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস পালন জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দলবদ্ধ হামলা লুটপাট ও ভাঙচুর, রমেকে ভর্তি র‍্যাবের অভিযানে জুয়া খেলার সরঞ্জাম, ফেন্সিডিল ও নগদ অর্থ উদ্ধার’ ০৮ পেশাদার জুয়ারী ও মাদকসেবী গ্রেফতার চিনিকলের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও বেতারের সাবেক শিল্পী নাজমুল ইসলামের ইন্তেকাল

তারাগঞ্জে ব্র্যাকের কার্যালয়ে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু

সুমন আহমেদ ,তারাগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
রংপুরের তারাগঞ্জে  ব্র্যাক কার্যালয়ে হাফিজা খাতুন (৩২) নামে এক গৃহবধূর গলায় ফাঁস দিয়ে রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। নিহত হাফিজা খাতুন বুড়িরহাট শাখা ব্র্যাক কার্যালয়ের পিও নুর আলমের স্ত্রী।
তারাগঞ্জ থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালে দিনাজপুর জেলার বোচাগঞ্জ উপজেলার বড় পরমেশ্বরপুর গ্রামের মৃত হাফিজার উদ্দিনের পুত্র নূর আলমের সঙ্গে বিয়ে হয় তার। এর আগে ২০১৪ সালে তাদের একমাত্র সন্তান নাহিদ শাহরিয়ার হিমেল মাত্র সাড়ে ৮ মাস বয়সে মারা যায়। সন্তানের মৃত্যুর পর থেকে মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছিলেন ওই নারী।
গতকাল বুধবার সকাল ৯ টায় বুড়িরহাট শাখা ব্র্যাক কার্যালয়ের একটি কক্ষে সকল অফিস স্টাফদের উপস্থিতিতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে সে।
পুলিশ সুত্রে আরো জানা গেছে, নুর আলম ও তার স্ত্রী হাফিজা খাতুন গত ছয় মাস থেকে কুর্শা ইউনিয়নের বস পাড়া গ্রামের জবুর আলীর বাসায় ভাড়া থাকতো। প্রায় তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লাগতো। গত শুক্রবার স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হলে হাফিজা খাতুন অভিমান করে তার বাবার বাড়িতে চলে যায়। সেখান থেকে স্বামী নুর আলমকে মুঠোফোনে জানালে তিনি তার উপর রাগান্বিত হন। পরে গত মঙ্গলবার রাতে তিনি ভাড়া বাসায় ফিরে আসেন। সেখানে বাসার জিনিস পত্র না থাকায় তিনি বুধবার সকালে বুড়িরহাট শাখা ব্র্যাক অর্ফিসে যান। ব্র্যাক অফিসের দায়িত্বরত ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম ও সকল স্টাফদের উপস্থিতিতে তিনি আত্মহত্যা করবেন বলে জানান। এক পর্যায়ে অফিসের গেষ্টরুমে গলায় ফাঁস দিয়ে হাফিজা আত্মহত্যা করেন। এলাকাবাসীর পক্ষে হুমায়ন সরকার লরেন্স অভিযোগ করে বলেন, নুর আলমের সঙ্গে ওই এলাকার এক মহিলার পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল। যার কারণে হাফিজার সাথে নুর আলমের প্রায় ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকতো। সেই জন্য হাফিজা অফিস স্টাফের কাছে বিচার দাবি করে না পেয়ে অফিসের সকল স্টাফের উপস্থিতিতে গলায় ফাস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে অনেকেই ধারনা করছেন। হাফিজা খাতুনের স্বামী নুর আলম বলেন, আমি অফিসে উপস্থিত ছিলাম না। সে অফিসে এসে স্টাফদের সাথে কথা বলে কিভাবে আত্মহত্যা করেছে আমার জানা নেই। আমার অফিস স্টাফরাই ভালো বলতে পারবেন। হাফিজা খাতুনের বাবা তৈয়ব আলী অভিযোগ বলেন, বিয়ের পর হতে নানাভাবে আমার মেয়ে হাফিজাকে নির্যাতন করে আসছেন নুর আলম। একটি পুত্র সন্তান জন্মের ৬ বছর পরে মারা যান। সেই সময় হতে আরোও বেশী নির্যাতন শুরু করেন নুর আলম। আমার মেয়ের তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক বিচার দাবী করছি। বুড়িরহাট শাখা ব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, হাফিজা অফিসে এসে আমার সাথে স্বাভাবিক ভাবে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন। সকালে অফিসে এসেছিল কথা বলেছি তারপর গেষ্ট রুমে কখন গলায় ফাস দিয়ে আত্মহত্যা করেন আমরা কেউ জানিনা। পরে গেষ্ট রুমের দরজা বন্ধ দেখে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
তারাগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ ফারুক আহম্মদ বলেন, ঘটনাটির খবর পেয়ে ওই গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। আত্মহ্যার ঘটনায় তারাগঞ্জ থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।

Facebook Comments Box
Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর