March 19, 2024, 12:37 pm

সংবাদ শিরোনাম
সিলেট তামাবিল মহাসড়কে ক্যারিক্যাব ও পিকআপের সংঘর্ষে নিহত ৫, আহত ৭ কুড়িগ্রামে ৩ শতাধিক রোগীদেরকে ফ্রি চিকিৎসা সেবা প্রদান কুড়িগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রচারণায় পুলিশ সিংড়ায় চলনবিলে সরকারী খাল দখলমুক্ত হওয়ায় মাছ ধরলো শত শত মানুষ র‍্যাবের অভিযানে রাজশাহীর বানেশ্বরে জোরপূর্বক চাঁদা আদায়ের সময় চক্রের মূলহোতা’সহ গ্রেফতার- ৩ বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে লালমনিরহাট জেলা পুলিশের বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন তিস্তা ইউনিভার্সিটিতে বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস পালন জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দলবদ্ধ হামলা লুটপাট ও ভাঙচুর, রমেকে ভর্তি র‍্যাবের অভিযানে জুয়া খেলার সরঞ্জাম, ফেন্সিডিল ও নগদ অর্থ উদ্ধার’ ০৮ পেশাদার জুয়ারী ও মাদকসেবী গ্রেফতার চিনিকলের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও বেতারের সাবেক শিল্পী নাজমুল ইসলামের ইন্তেকাল

ঝালকাঠি শেখেরহাট সড়ক পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিরুদ্ধে পাইলিংয়ের বরাদ্দ প্রায় অর্ধকোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগ

রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চু, ঝালকাঠিঃ

ঝালকাঠির গাবখান নদীর ভাঙ্গনে ঝালকাঠি-শেখেরহাট সড়ক ধ্বসের কারনে প্রায় অর্ধকোটি টাকা পাইলিংয়ের জন্য বরাদ্দ পেয়ে ঠিকাদার নিয়োগ না করেই ৫০ লাখ টাকা লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিরুদ্ধে। নদী ভাঙ্গনে সড়কটির ক্ষতিগ্রস্থ একাধিক স্থানে বাঁশ দিয়ে পাইলিং দেয়ার ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নদী ভাঙ্গনের পাইলিং বাঁশ দিয়ে করায় এই লুটপাটের অভিযোগ ওঠেছে। ৬ কিলোমিটার এই সড়কে জরুরী ভিত্তিতে পাইলিংয়ের জন্য ৭ টি প্যাকেজে ১২ টি অংশের পাইলিংয়ের জন্য এই অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়। ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ড ডিপিএম পদ্ধতিতে কাগজে কলমে ঠিকাদারের মাধ্যমে এই কাজ করার কথা বললেও বাস্তবে তা হচ্ছেনা। খোঁজ নিয়ে জানাযায়, বোর্ডের কিছু অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারী নিজেরাই দায়সারা ভাবে এই কাজ করে বরাদ্দ অর্থ লুটপাটের পায়তারা করছে। জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানাযায়, চলতি মাসের গত সপ্তাহে জরুরী ভিত্তিতে গাবখান নদীর ভাঙ্গনে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পরা এই সড়কটি রক্ষায় পাইলিংয়ের বরাদ্দ দেয়া হয়। বরাদ্দের পরিমান ৪৯ লাখ ৭৪ হাজার ৫৯১ টাকা। ৫ জন ঠিকাদারকে এই কাজ দেয়া হয়। ৩১ আগষ্টের মধ্যে এ কাজ শেষ করা হবে বলে সূত্র জানিয়েছে।দক্ষিনাঞ্চল নৌ রুটের গাবখান চ্যানেল সংলগ্ন ঝালকাঠি-শেখেরহাট সড়কটি নিশ্চিহ্ন হতে চলছে। এলজিইডি বিভাগের আওতায় ৬ কিলো মিটারের এই সড়কটি সংস্কারের জন্য অনেক আগেই প্রায় ৩ কোটি টাকা বরাদ্দ এসেছে। কিন্তু কাজে লাগানো যাচ্ছেনা সড়কটির ভাঙ্গন প্রতিরোধে স্থায়ী কোন ব্যবস্থ্যা না নেয়ায়। গাবখান চ্যানেল তীরে সড়কটিতে প্রতিদিন ভাঙ্গনের পাশাপাশি গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে। এ সড়ক দিয়ে ভারী যানবহন চলাচল না করলেও নৌ রুটের ভারী ও মালবাহী জাহাজ চলাচল করছে গাবখান চ্যানেল দিয়ে। এতে পানির ¯্রােতে সড়কের মাটি ও গাছ ভেঙ্গে পরছে। বেহাল দশার এ সড়কটি নির্মানের দাবি জানিয়ে আসছিল এলাকাবাসির দীর্ঘ দিন থেকে।গত ২২ আগষ্ট গাবখান নদী তীরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে পাইলিং কাজের কোন ঠিকাদারের কোন লোক নেই। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কার্য সহকারী রায়হান খান কাজ দেখা শোনা করছেন। তিনি জানান, সাময়িক এবং জরুরী এই কাজের জন্য এই মূহুর্তে কোন ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়নি। পানি উন্নয়ন বোর্ড এই কাজের সার্বিক পরিচালনা করছে। এসময় সেখানে রাস্তার ভাঙ্গনকূলে বাঁশ দিয়ে পাইলিং কাজের কারন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা কোন স্থায়ী কাজ নয়। সাময়িক কাজ হওয়ায় বাঁশ ও গাছ দিয়ে পাইলিং দেয়া হচ্ছে। গাবখান এলাকার বাসিন্দা পেশায় ঠিকাদার তপন তালুকদার, মুক্তিযোদ্ধা আঃ শুক্কুর ও কৃষক নাসির হাওলাদার পাইলিংয়ের নামে দূর্নীতি করে বরাদ্দ অর্থ লুটপাটের কথা জানিয়ে বলেন, বাঁশ দিয়ে পানি উন্নয়নবোর্ড নদী ভাঙ্গনের সড়কে পাইলিং দেয় আমরা এই প্রথম দেখলাম। এই পাইলিং কোন কাজে লাগবেনা কারন বাশ কিছু দিন পরেই পচে নষ্ট হয়ে যাবে। তাছারা পাইলিংয়ের বাঁশের গোড়ার মাটি সরে গিয়ে এবং ভিতরে ফেলানো বালুর ব্যাগের চাপে নদীতে পাইলিং ও সড়ক দুটোই ধ্বসে পরবে। যদি দূরে সরিয়ে কংক্রিটের পাইলিং দিয়ে ভিতরে বালুর বস্তা ফেলা হতো তাহলেই কেবল ভাঙ্গন প্রতিরোধ করা সম্ভব হতো। এলাকাবাসি অভিযোগ করে বলেন, বরাদ্দ লুটপাটের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের এই বাঁশ পাইলিং শুধুই একটি বাহানা।আমরা এর প্রতিবাদ করলে আমাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা করবে কর্তৃপক্ষ। তাই আমরা প্রতিবাদ করতে পারছিনা।এ বিষয়ে ঝালকাঠি পানি উন্নয় বোর্ডের উক্ত প্রকল্পের উপ-সহকারী প্রকৌশলী বিভূতী চন্দ্র রায় জানান, গত সপ্তাহে জরুরী ভিত্তিতে এই পাইলিং কাজ শুরু করা হয়। উক্ত প্রকল্পের কার্যাদেশ ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নাম ঠিকানা দেখতে চাইলে তিনি বলেন, কার্যাদেশ আমাকে না দেয়ায় আমার কাছে এর কোন তথ্য নেই। নদী ভাঙ্গনে সড়কের পাইলিং কাজে পানি উন্নয়ন বোর্ড কংক্রিট/ব্লক না দিয়ে বাঁশ ব্যাবহার করায় তা কতটা মজবুত বা স্থায়ী হবে জানতে চাইলে নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম আতাউর রহমান বলেন, ৫টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পাইলিংয়ের এই কাজ করা হচ্ছে। অস্থায়ী ভাবে জরুরী ভিত্তিতে এই পাইলং কাজ করায় এতে বাঁশ ব্যাবহার করা হচ্ছে। পাইলিংয়ের ভিতরে জিওবি ব্যাগ ফেলানো হবে। যাতে রাস্তার মাটি ধূয়ে না যায়। আপনার দপ্তরে প্রকল্পের উপ-সহকারী প্রকৌশলীর কাছে ঠিকাদরী প্রতিষ্ঠানের নাম এবং কার্যাদেশ না থাকার কারন কি জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করেননি।

প্রাইভেট ডিটেকটিভ/২৬ আগস্ট ২০১৯/ইকবাল

Facebook Comments Box
Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর