ডিটেকটিভ ডেস্কঃঃ
বরগুনার আমতলী উপজেলার কড়াইবুনিয়া গ্রামের শাহজাহান কবিরাজ নামে এক শারীরিক প্রতিবন্ধী ভিক্ষুককে কুপিয়ে হত্যা শেষে পুকুরে ফেলে রেখেছে সন্ত্রাসীরা।
শনিবার পুলিশ নিহত শাহজাহানের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ তার সৎভাই স্বপন কবিরাজ, আলানুর কবিরাজ, আল আমিন কবিরাজ ও মজিদ কবিরাজকে থানায় নিয়ে আসে। ঘটনা ঘটেছে শুক্রবার রাতে।
জানা গেছে, উপজেলার কড়াইবুনিয়া গ্রামের শারীরিক প্রতিবন্ধী শাহজাহান কবিরাজ ঢাকায় ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। দুই মাস পূর্বে তিনি ঢাকা থেকে বাড়িতে আসেন। জমিজমা নিয়ে সৎভাই স্বপন কবিরাজ, আলানুর কবিরাজ, আল আমিন কবিরাজ ও মজিদ কবিরাজের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ ও মামলা চলে আসছে।
এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে কয়েকবার সালিশ বৈঠক হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কল্যাণপুর বাজারে বসে সৎভাই মজিদ কবিরাজের ছেলে নুর হোসেন এবং তার ভগ্নিপতি নাশির হাওলাদারের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে ঝগড়া হয়।
একপর্যায় তারা প্রতিবন্ধী শাহজাহানকে মারধর করে। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। গত দুই দিন তাকে পরিবারের লোকজন খুঁজে পাননি। তাকে না পেয়ে স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খুঁজতে থাকেন। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শাহজাহানের মরদেহ পার্শ্ববর্তী ইদ্রিস মোল্লার পুকুরে ভাসমান অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয়রা।
খবর পেয়ে আমতলী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত শাহজাহান কবিরাজের সৎভাই স্বপন কবিরাজ, আলানুর কবিরাজ, আল আমিন কবিরাজ ও মজিদ কবিরাজকে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আমতলী থানার ওসি (তদন্ত) রণজিত কুমার সরকার বলেন, নিহত শাহজাহান কবিরাজের মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের চার সৎভাইকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে।
//ইয়াসিন//